কারাগারে সন্তান জন্ম দিলেন সেই মা
প্রকাশিত : ১১:৩২ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার
মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারে হত্যা মামলার আসামি সুমাইয়া (২০) এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সন্তান জন্ম দেওয়ার খবর শোনার পরই কারাগারের বন্দিদের মধ্যে মিষ্টি মুখ করানো হয়। নবজাতকের দেখাশোনা করছেন নারী কারারক্ষীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ছেলে সন্তানেজন্ম দেন মা সুমাইয়া।
প্রসঙ্গত, মা সুমাইয়া তার স্বামী আরিফ হোসেনের প্রথম স্ত্রীর ছেলে মো. ইয়াসিন (৭) হত্যা মামলার একমাত্র আসামি। ৬ মাস আগে হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সুমাইয়া। পরে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় শিশু ইয়াসিন হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৎ। গ্রেফতারের সময় সুমাইয়া ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার ফরিদ উদ্দিন রুবেল জানান, বেলা ১১টার দিকে প্রসব বেদনা উঠে সুমাইয়াকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সিজারিয়ানের মাধ্যমে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তিনি জানান, জেলা সমাজ সেবা অধিদফতর ও জেলা কারাগার সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষেত্রে হাসপাতাল ও ওষুধ বাবদ খরচ বহন করে।
এদিকে, দ্বিতীয় স্ত্রী সুমাইয়ার কারাবন্দি অবস্থায় সন্তান জন্ম হওয়ার খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন স্বামী সেনাসদস্য আরিফ হোসেন। তিনি জানান, সন্তান হওয়ার সুখবর তাকে কারা কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন। এরপরই সন্তানের মুখ দেখার জন্য তিনি হাসপাতালে ছুটে আসেন। সুমাইয়া ও আরিফ হোসেনের বাড়ি জেলার সিরাজদীখান উপজেলার বয়রাগদি গ্রামে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে জেলার সিরাজদীখানের বয়রাগাদি গ্রামে আরিফ হোসেনে প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিন হত্যাকাণ্ড ঘটে। ইয়াসিনকে হত্যার পর পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আরিফের দ্বিতীয় স্ত্রী সুমাইয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন দ্বিতীয় স্ত্রী সুমাইয়া। পরবর্তীতে ইয়াসিনের বাবা আরিফ হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় কারাগারে রয়েছেন সুমাইয়া।