পার্বত্য অঞ্চলের জনপদ বৈসাবীকে ঘিরে মুখরিত
প্রকাশিত : ০১:৪৪ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:৪৪ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৬ মঙ্গলবার
আদিবাসীদের বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবীকে ঘিরে মুখরিত পার্বত্য অঞ্চলের জনপদ। নতুন পোশাক কেনা-কাটা, ঘরবাড়ি সাজানো আর পূজা অর্চনাসহ নানান আয়োজনে ব্যস্ত আদিবাসীরা। বান্দরবান, খাগড়াছড়ি আর রাঙ্গামাটিতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। ভিড় করছে দেশী-বিদেশী পর্যটক।
পাহাড় সেজেছে বর্ষবরনে। শুরু হয়েছে বৈসাবী। বৈসু, সাংগ্রাই আর বিজু মিলে এই উৎসব। চিরাচরিত পুরনো রীতি; অথচ সবখানেই যেনো নতুনত্ব; কেননা নতুন বছর যে কড়া নাড়ছে। শান্তি, সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতির শেকলে নিজেদের বেঁধেছেন পাহাড়ের মানুষ।
রাঙ্গামাটিতে উৎসবের প্রথম দিন “ফুল বিজুতে ঘর সেজেছে ফুলে ফুলে। নদীতে জলদেবীর উদ্দেশে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পুরোনো কে বিদায় আর নতুনের আগমনকে স্বাগত জানায় আদিবাসী নারীপুরুষ।
সাংগ্রাই মারমাদের উৎসব হলেও বান্দরবান শহরের সাত সকালের শোভাযাত্রায় ছিলো সর্বস্তরের মানুষ। ৫ দিনব্যাপী উৎসবে থাকছে সমবেত প্রার্থনা, জলকেলি, পিঠা তৈরি, ঘিলা খেলা, বৌদ্ধ মূর্তি স্নান, হাজারো প্রদীপ প্রজ্জলন, বয়স্ক পূজাসহ নানা অনুষ্ঠান।
অন্যদিকে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় খাগড়াছড়ির পাড়ায় পাড়ায় চলছে পূজা আর গড়ায়া নৃত্যে। আছে জলকেলি আর ফুল ভাসানোর আয়োজনও।
আদিবাসীরা যুগ যুগ ধরে বাংলা বছরের শেষের দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিনসহ ৪ দিন বৈসাবী উৎসবের মাধ্যমে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে, বরণ করে নতুন বছরকে।