সম্মাননা পেলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে সহায়তাকারীরা
প্রকাশিত : ০৯:৫৩ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:৩৮ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার
সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন জাদুঘর নির্মাণে অনুদান প্রদানকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে।
সম্মাননা দেওয়া হল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে সহায়তাকারীদের। জাদুঘর নির্মাণে অনুদান প্রদানকারী দুই হাজার ৫৯১ জনের মধ্যে ৩৯৩ জনকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ড আয়োজিত এ সম্মাননা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রাশিদুল হাসানের মেয়ে রুকাইয়া হাসিনা নিলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মূল অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিহাদুর রহমান শাহীন, জাদুঘরের হিতৈষী নূরজাহান বেগমকে স্মারক প্রদান করা হয়।
পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা যখন গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে চলছি, তখন একাত্তরের পরাজিত শক্তি পেছন থেকে আমাদের জাতীয় পতাকাকে খামচে ধরতে চায়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে এই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করার কঠিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক রাশিদুল হাসানের মেয়ে রুকাইয়া হাসিনা নিলি বলেন, বাবা বলতেন ‘এই দেশটি বাংলাদেশ, আমরা সবাই বাঙালি হয়ে বাঁচব। আজকে যখন ভাষা, পোশাক আর চলনে-বলনে বিদেশি সংস্কৃতির আধিপত্য দেখি, তখন এই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি বাঙালির চেতনার প্রতীক হয়ে বাংলাদেশ আর বাঙালির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখবে। বাঙালি হয়ে বাঁচব আমরা, প্রাণখুলে বলব জয় বাংলা।
কর্মসূচি সমন্বয়ক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী ও আলী যাকের। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে পারফর্ম করেন পঞ্চভাস্বরের শিল্পীরা।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি ভাড়াবাড়িতে ১৯৯৬ সালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যাত্রা শুরু করে। পরে সর্বজনের সহায়তায় আগারগাঁওয়ে প্রায় এক একর জমিতে স্থায়ী ভাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ করা হয়। যাদুঘরের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের দীর্ঘ যাত্রাপথে বিশাল নির্মাণকাজে দেশবাসীর ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ছাড়া এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হতো না। তাই জাদুঘর কর্তৃপক্ষ নির্মাণকাজে সহায়তাকারীদের সম্মাননা প্রদানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। গত ১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন।
আরকে/টিকে
ভিডিও দেখুন