ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘হালদা’ দেখে সমালোচনা করলেও ভালো লাগবে: জাহিদ হাসান

প্রকাশিত : ১১:১৪ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ১০:১৪ এএম, ২ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার

শুক্রবার সারাদেশের একযোগে ৮২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘হালদা’ চলচ্চিত্রটি। এই চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। ইতিমধ্যে ছবিটি দেখে অনেক গুণী ব্যক্তি তার অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত এই ছবি নিয়ে রয়েছে তার অনেক স্মৃতি। ‘হালদা’ নির্মাণ সময়ের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেতা। সাক্ষাৎকার লিখেছেন আউয়াল চৌধুরী।

 

ইটিভি অনলাইন: চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কাজ করতে গিয়ে কোনো সমস্যা কি হয়েছে?

জাহিদ হাসান: চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এই ছবিটি নির্মিত হয়েছে। এখানকার আঞ্চলিক ভাষায় কাজ করতে গিয়ে আমরা নানা ধরনের সমস্যার মখোমুখি হই। অনেক সময় ভাষাগত কারণে আমরা কাজে আটকে যেতাম। পরে একজন দোভাষীর মাধ্যমে আমরা কাজ এগিয়ে নেই। ছবিতে ভাষাকে সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যাতে সবাই বুঝতে পারে। অভিনয়ের ব্যাপারে আমরা যতটা না পেশেন্স ছিলাম, সংলাপ নিয়ে তার চেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতাম। অনেক কষ্ট শ্রম শেষে হালদা দর্শকদের সামনে এসেছে। এখন দর্শকারাই বলবে ছবিটি কেমন হয়েছে।

ইটিভি অনলাইন: ছবিতে আপনার সম্মানী কেমন ছিল?

জাহিদ হাসান: এখানে টাকা কোনো বিষয় ছিল না। আমরা যারা এখানে অভিনয় করেছি সবার সঙ্গে একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। তৌকীর আহমেদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৩০ বছর ধরে। এক সঙ্গে আমরা থিয়েটারে কাজ করেছি। এই ছবিতে যখন কাজের ব্যাপারে কথা হয় তখন টাকা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। টাকার বিষয়ে আমরা কিন্তু কোনো কথাই বলিনি। একটা কাজ হবে এটাইতো বড় বিষয়। আর মনে হয় সে আমাদেরই তো মানুষ। সব কিছুতে একটা আন্তরিকতা ছোঁয়া আছে। আমি বিশ্বাস করি এক সময় আমরা কেউ থাকবো না। ছবিগুলো থেকে যাবে। এবং ছবি যদি ভালো রেজাল্ট করে সেটা টাকার চেয়েও বেশি সম্মান বয়ে আনব বলে মনে করি।

ইটিভি অনলাইন: আপনার অভিনয় সম্পর্কে কিছু বলুন..

জাহিদ হাসান: দর্শকরা ছবি দেখে বলেই আমরা অভিনয় করি। দর্শক না থাকলে আজকে যে এই পর্যায়ে এসেছি, সেটা সম্ভব হতো না। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বড়দের হাত ধরে বড় হয়েছি। ভাই বোন বন্ধুদের সঙ্গে মিশেছি। একজন অভিনেতা হিসেবে বলবো এই দর্শকগুলো একটু একটু করে আমাদের সাহস যুগিয়েছে। কাজ ভালো হলে প্রশংসা করেছে। খারাপ হলে দিক নির্দেশনা দিয়েছে। আর এই জন্যই আজকে একটা জায়গায় আসতে পেরেছি।

 

ইটিভি অনলাইন: বর্তমান চলচ্চিত্র সসম্পর্কে আপনার মূল্যয়ন জানতে চাই?

জাহিদ হাসান: আমাদের চলচ্চিত্র এক সময় খুব ভালো করেছিল। মাঝখানে একটু খারাপ ছিলো। সামনে আরো অনেক ভালো করবে বলে আশা করছি। এখন আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো ছবি তৈরি হচ্ছে। আমরা যা কিছু করছি সব দর্শকদের জন্য। হালদা ছবিটা করার সময় আমাদের অনেক স্মৃতি জমা হয়ে আছে। অনেক পরিশ্রম হয়েছে। আপনারা যদি ছবিটা দেখেন আমাদের ভুল ত্রুটি কোথাও থাকলে সেটা বলবেন। আপনারা কিছু বললে আমরা সাহস পাই। হ্যাঁ, আমরা তোমাদের সঙ্গেই আছি।

 

ইটিভি অনলাইন: শুটিং এর দিনগুলো কেমন কেটেছে?

জাহিদ হাসান: এক ধরনের আনন্দ কাজ করেছে। আবার সঙ্গে সঙ্গে টেনশনও কাজ করেছে। এমন একটি ছবিতে কাজ করছি, যেখানে নানা জটিলতা রয়েছে। সবচেয়ে বড় জটিলতা ছিল ভাষা। প্রথম দিকে আমরা কিছুই বুঝতাম না। সেটা আমরা সফলভাবে অতিক্রম করতে পেরেছি। এরপর শুটিং-এ আশা যাওয়ার মাঝে অসংখ্যা মানুষ আমাদের দেখতে আসতো। রাস্তার দ্বারে, শুটিং স্পটে দাঁড়িয়ে থাকেতো। প্রিয় অভিনেতাদের দেখার জন্য। আর আমরা সবাই শুটিং-এ ছিলাম পরিবারের মতো। এক সঙ্গে খাওয়া, আড্ডা দেওয়া অনেক মজার সময় কেটেছে।

ইটিভি অনলাইন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

জাহিদ হাসান : আপনাকেও অজস্র ধন্যবাদ।

এসি/টিকে