এফডিসিতে জমে উঠেছে সিডাব নির্বাচন
আউয়াল চৌধুরী
প্রকাশিত : ০৯:২৩ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৯:৫০ এএম, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সোমবার
চলচ্চিত্র নির্মাণের অন্যতম কারিগর হলেন সহকারী পরিচালকরা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই একটি চলচ্চিত্র দর্শকদের সামনে উপস্থাপিত হয়। সেই সহকারী পরিচালকদের সংগঠন সিনে ডিরেক্টরিয়াল এসোসিয়েটস অফ বাংলাদেশ (সিডাব) এর নির্বাচন আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে ঘিরে এফডিসিজুড়ে এখন ব্যাপক উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীদের টাকায় খাওয়া-দাওয়া চলছে। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যেও বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
এ নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একটি এস আই ফারুক-কাজী মনির প্যানেল, অন্যটি মো. খায়রুল ইসলাম-আলমগীর রতন প্যানেল। তাদের প্রত্যেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
এ প্রসঙ্গে বর্তমান কমিটির সভাপতি এস আই ফারুক বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সিডাব উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করেছি। এখানে এক সময় ভালো করে বসার ব্যবস্থা ছিল না, আমি সেটা করেছি। রুমগুলো সংস্কার করেছি। পানির ব্যবস্থা করেছি। প্রতি বছর পিকনিকের আয়োজন, ইফতার মাহফিল, সাধারণ সভায় মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ অনেক বিষয় সংযোজন করেছি। এখন সাধারণ ভোটাররা যদি আমাকে ভোট দিয়ে পুনরায় নির্বাচিত করে তাহলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি। আমি ভোটারদের বিবেকের ওপর এটা ছেড়ে দিলাম। অনেকে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে- যেটা মোটেও ঠিক নয়।”
অন্যদিকে বর্তমান সভাপতি এস আই ফারুকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন মো. খায়রুল ইসলাম। তিনি নির্বাচনে জয় লাভ করার জন্য দিনরাত গণসংযোগ চালাচ্ছেন। নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে আমাদের এই সংগঠন নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান কমিটির নানা অনিয়মের কারণে সংগঠনের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়েছে। সিনিয়ররা এখানে প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না। আমি নির্বাচিত হলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে যারা কষ্টে আছে, তাদের আর্থিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবো। অসুস্থদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। সদস্যদের জন্য একটি পাঠাগার তৈরি করবো। সর্বোপরি পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলে যাদের কাজ নেই তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো।”
নির্বাচন নিয়ে সবাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। দুই প্যানেল থেকেই প্রতিদিন দুপুরে খাবারের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো এফডিসি। সাধারণ সদস্যরা বিষয়টিকে ভালো একটি উদ্যেগ মনে করছেন। বিকাল বেলা চলছে দফায় দফায় চা চক্র।
এ প্রসঙ্গে নীল রতন তালুকদার নামের এক ভোটার বলেন, “আমরা এ ধরনের আয়োজনে খুবই খুশি। কিন্তু যারা নির্বাচন করছেন, তাদের প্রতি আমাদের কিছু দাবিও আছে। আমাদের এখানে কোনো গ্রন্থাগার নেই। যারাই জয় লাভ করেন, তারা যেন এ বিষয়টির প্রতি একটু নজর দেন। আর আমরা কোনো ছবিতে কাজ করতে গেলে অনেক সময় কাজের মাঝখান থেকেই সহকারী পরিচালকদের বাদ দিয়ে দেয়, যেটা খুবই খারাপ কাজ। এ ব্যাপারেও সমিতি বিশেষ পদক্ষেপ নিবে বলে আশা করি। বেকার সদস্যদের কাজের ব্যাপারেও তাদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা চাই। আর শেষ কথা হলো, তারা সুশৃঙ্খলভাবে সমিতিকে চালাবে- এটাই প্রত্যাশা করছি।”
অন্য একজন ভোটার গাজী ফারুক তার প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, “যারাই জয় লাভ করুক তারা যেন সদস্যদের জন্য চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে। আধুনিক টেকনোলজির সঙ্গে সদস্যদের পরিচিত করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সর্বোপরি তারা যেন সমিতির শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করে- এটাই আমি আশা করছি।”
/ডিডি/টিকে