ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ব্যতিক্রম আন্দোলন!
আলী আদনান
প্রকাশিত : ০৯:৩২ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার
ডাকসু নিয়ে এবার আলোচনায় ওয়ালিদ আশরাফ। ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশন শুরু করছেন তিনি। আর তার এ দাবিকে সমর্থন দিচ্ছেন অনেকেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ালিদ আশরাফ নামক এক যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। তিনি একাই এ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ালিদ আশরাফ ঢাকার মগবাজারের মধুবাগে বাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সান্ধ্যকালীন ছাত্র। পাশাপাশি ভাষা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভাষা শিখেন। কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই। তবে তার এই আন্দোলনে বিশ্বদ্যিালয় প্রশাসনের কোন টনক না নড়লেও তাকে ধীরে সমর্থন জানাচ্ছেন অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন মানুষ।
ওয়ালিদ আশরাফ অনশন শুরু করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্মৃতি চিরন্তন’ নামক মিনারে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ছাত্র- শিক্ষকদের স্মরণে নির্মিত হওয়া এ মিনারটির পাশেই উপাচার্যের বাসা। ওয়ালিদ আশরাফ ছোট একটি তাঁবু নিয়ে এসেছেন। তাঁবুতে তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিশ রাখা। অনেকেই এসে ওয়ালিদ আশরাফের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হলে ওয়ালিদ আশরাফ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের খাবারের মান খারাপ্। আবাসিক হলগুলোতে বৈধ ছাত্ররা থাকতে পারে না। কিন্তু রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীদের দাপটের কাছে অনেকে অসহায়। শক্তিশালী ছাত্র সংগঠনগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের তাদের কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য করে। কিন্তু সাধারণ ছাত্রদের দাবির পক্ষে কথা বলার কেউ নেই।
ওয়ালিদ আশরাফ আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নির্বাচন হয়। কর্মচারী নির্বাচন হয়। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যে প্রয়োজন সেটা হল ছাত্রদের নির্বাচন। ছাত্র ছাত্র প্রনিধিরাই ছাত্রদের পক্ষে কথা বলবে।
অনেকে ওয়ালিদ আশরাফের আন্দোলনকে সমর্থন দিলেও উপাচার্য আক্তারুজ্জামান বলেছেন, এ মুহুর্তে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি অনুষঙ্গ আছে। এসব অনুষঙ্গ মিটিয়ে নির্বাচন আয়োজনের প্রেক্ষাপট এখনও তৈরি হয়নি।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ৬ জুন ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৮ সালে ছাত্রসংসদরে কমিটি ভেঙ্গে দেওযা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে বারবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যকর হয়নি। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও বিভিন্ন আন্দোলনে ডাকসু নেতাদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে।
এসএইচ/