প্রকৃতির নিয়মে চৈত্র মাসকে বিদায়ের নাম চৈত্র সংক্রান্তি
প্রকাশিত : ০২:৩৫ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০২:৩৫ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৬ বুধবার
প্রকৃতির নিয়মে চৈত্র মাসকে বিদায়ের রয়েছে নানা সংস্কৃতি যা পরিচিত চৈত্র সংক্রান্তি নামে। পুরনো দিনের সকল হিসাব ভুলে প্রস্তুতি শুরু হয় নতুন বাৎসরিক হিসাব। নানা রকম পূজা আর পার্বন ঘিরে রাখে বাংলাকে।
প্রকৃতির নিয়মে বাংলার ঋতুচক্রের পালাবদলে আসে গ্রীষ্ম, উষ্ণতা নিয়ে। প্রখর তাপে আকাশ হয়ে উঠে তৃষ্ণার্ত। মানব মনও তৃষিত হয় প্রকৃতিকে বরণ করতে, স্মরণ করতে। এরই মাঝে চৈত্রের আগমনী।
বাংলা সালের যে নামকরন তা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্রের নামে। সে হিসেবে চৈত্রমাসের নামকরণ করা হয়েছে চিত্রা নক্ষত্রের নামানুসারে। আর বিশাখা নক্ষত্রের নামানুসারে আসে বৈশাখ। তবে চৈত্র সংক্রান্তির ব্যাখ্যায় যা পাওয়া যায় তা হলো সূর্যের এক রাশি থেকে আন্য রাশিতে যাওয়ার প্রক্রিয়া অথাৎ এক বছর থেকে অন্য বছরে পদার্পন।
বাংলার পূর্ব ইতিহাস থেকে জানা যায়, আগে বছর শুরু হোত অগ্রহায়ন মাসে। তবে মোঘল সম্রাট আকবর (সুবে বাংলা) প্রতিষ্ঠার পর ফসল কাটার মৌসুম অনুসারে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে চৈত্র মাসকে বছরের শেষ ও বৈশাখ মাসকে বছরের শুরু হিসেবে প্রচলিত করেন।
বর্তমান সময়ে নতুন বছরের জন্য ব্যাবসায়ীরা তাই প্রতিবছর নিজেদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানকে ধুয়েমুছে পরিস্কার করে আবার শুরু করেন নতুন বছরের হিসাব লেখা। যা হালখাতা নামে পরিচিত। ক্রেতারাও পুরানো হিসাবকে চুকিয়ে দিয়ে খোলেন নতুন হিসাবের খাতা।
চৈত্র সংক্রান্তির অন্যতম আকর্ষণ গাজন। গাজন একটি লোকউৎসব, সেইসাথে রয়েছে নীল পূজা, চড়ক পূজা ইত্যাদি।
এগুলো সনাতন সম্প্রদায়ের রীতি হলেও বাংলাদেশের মানুষ সহঅবস্থানে করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাই বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চৈত্র সংক্রান্তি পালন করে বাঙ্গালী আহ্বান জানায় নতুন বছরকে।