রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় দায়ী প্রমাণিত হলে অর্থ ফেরত দেবে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক
প্রকাশিত : ০৪:২০ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০৪:২৭ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৬ বুধবার
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি যাওয়ার ঘটনায় দায়ী প্রমাণিত হলে পুরো অর্থ ফেরত দেবে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এদিকে, শুনানির পর চাপের মুখে রয়েছে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ফিলরেম। প্রমাণ সাপেক্ষে এই প্রতিষ্ঠানটিও বাংলাদেশকে দুই লাখ ডলার ফেরত দেবে বলে জানিয়েছে।
ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে ৫টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। তবে বরাবরই ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ওপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছিলো কর্তৃপক্ষ। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টপ পেমেন্টের নির্দেশ অমান্য করার পরও দায় এড়িয়ে যাচ্ছিলেন ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা। সবশেষ জানিয়ে দেয়া হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের মেসেজ ছিলো অস্পষ্ট।
কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসার মতো করে অর্থ চুরিতে জড়িত আরো কর্মকর্তার নাম বেরিয়ে আসতে থাকলো। এমনকি ব্যাংকের নির্বাহী সহ-সভাপতিও জানতেন বিষয়টি। সিনেট কমিটির শুনানিগুলোতে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছেন ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জো তান। তাই এবার তিনি চাপের মুখে অঙ্গীকার করলেন দায়ী প্রমাণিত হলে ফেরত দেবেন পুরো ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতোর বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হওয়ায় সহসাই ছাড় পাচ্ছেন না তিনি। সিনেট কমিটির, অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল ও বিচার বিভাগের নিয়মিত নজরদারিতেই তিনি আছেন। ৩ মে’র মধ্যে বিচার বিভাগের কাছে তাকে অর্থ পাচার মামলার জবাব দেয়ার নির্দেশও রয়েছে।
এদিকে, বিপুল পরিমাণ এ অর্থ পেসোতে রূপান্তর করতে ব্যবহার করা হয়েছিলো মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ফিলরেমকে। চাপের মুখে আছে এ প্রতিষ্ঠানটিও। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, রেমিটেন্স কোম্পানি হিসেবে নয়, ভূমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধন করেছিলো ফিলরেম। এমনকি ঠিকমতো করও পরিশোধ করেনি এই প্রতিষ্ঠান।
অভিযুক্ত ফিলরেমও বাংলাদেশকে দুই লাখ ডলার ফেরত দেয়ার কথা জানিয়েছে।