ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

অপু বিশ্বাসকে পরামর্শ দিলেন তসলিমা

প্রকাশিত : ০৫:৩৭ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার

বর্তমানে শোবিজ অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত খবর শাকিব-অপুর বিচ্ছেদ। যদিও বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে কোন পক্ষই মিডিয়ার সামনে মুখ খোলেননি এতোদিন।

এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার মধ্যেই শাকিবকে দুষে অপুকে পরামর্শ দিয়েছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এ লেখিকা নিজের ফেসবুকে এক স্টাটাসে বলেছেন, `শাকিবের মতো আত্মম্ভরী পুরুষতান্ত্রিকের সংগে তালাক হয়ে যাওয়া অবশ্য ভালো। স্বনির্ভর মেয়ে নিজের দেখভাল নিজেই করতে পারে। শাকিবের জন্য কান্নাকাটি হাহুতাশ বন্ধ করতে হবে অপুকে। আপাতত অপু বিশ্বাসের কোনও পুরুষকে বিশ্বাস করা উচিত নয়।’

ফেসবুকে লেখার শুরুতেই তসলিমা নাসরিন বলেন, ‘বাংলাদেশের ছবির হিরো শাকিব তালাক দিচ্ছে বাংলাদেশের ছবির হিরোইন অপু বিশ্বাসকে । অপুর দোষ, অপু তার স্বামীর নির্দেশ পালন করেনি, তার কথা শোনেনি । শাকিবকে ভালোবেসে অপু নিজের ধর্ম ছেড়ে শাকিবের ধর্ম গ্রহণ করেছে, শাকিবের বাড়িতে ঝি চাকরের মতো কাজকর্ম করেছে।

তসলিমা বলেন, শাকিব বিয়ের ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখতে বলেছে বলে লুকিয়ে রেখেছে, বাচ্চা হওয়ার খবরটাও লুকিয়ে রাখতে বলেছে বলে দীর্ঘকাল লুকিয়ে রেখেছে। বাচ্চা হওয়ার সময় শাকিব হাসপাতালে যায়নি তারপরও শাকিবের জন্য অপুর ভালোবাসা কিছু কমেনি। এখন বাচ্চা কোলে মেয়েটি পাচ্ছে তালাকনামা। শাকিবের মতো আত্মম্ভরী পুরুষতান্ত্রিকের সংগে তালাক হয়ে যাওয়া অবশ্য ভালো। স্বনির্ভর মেয়ে নিজের দেখভাল নিজেই করতে পারে।

তিনি লেখেন, শাকিবের জন্য কান্নাকাটি হাহুতাশ বন্ধ করতে হবে অপুকে। আপাতত অপু বিশ্বাসের কোনও পুরুষকে বিশ্বাস করা উচিত নয়। অপুকে এখন নিজের পায়ের তলার মাটি যেমন আরো শক্ত করতে হবে। মনের ভেতরের মাটিও আরও শক্তত করতে হবে। পায়ের তলার মাটি, মনের ভেতরের মাটি -- দুটোই এমন নরম যে যে কেউ তাদের ডুবিয়ে দিতে পারে কাদায়, যে কেউ আবার তাদের মনেও অনায়াসে ডুবে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, প্রেম করে শাকিব-অপুর বিয়ে করেন ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল। কিন্তু ৯ বছর বিয়ের খবর গোপন রাখেন এই তারকা জুটি। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সী ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন অপু বিশ্বাস। বিয়ের খবর প্রকাশের আট মাসের মাথায় বিবাহবিচ্ছেদে গেলেন তারা।

 

আর