ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেম : ট্রাম্প
প্রকাশিত : ০৯:১৫ এএম, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:২৯ এএম, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েই দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে হোয়াইট হাউজে কূটনীতিকদের অভ্যর্থনা কক্ষে এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির এটাই সময়।’
১৯৪৮ সালে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রই জেরুজালেমকে তাদের রাজধানীর স্বীকৃতি দিলো। ট্রাম্পের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কয়েক দশকের আমেরিকান নীতিকে বদলে দিয়েছে। আমেরিকান দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে চায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ই। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে ফিলিস্তিনের নেতারা সতর্ক করে বলেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দিলে তা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় ‘মরণ ছোবল’ হবে।
ট্রাম্প বলেন, এই সিদ্ধান্তের মানে এই নয় যে আমেরিকা মধ্য প্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকার থেকে সরে আসছে। মধ্য প্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ ছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষণের আগে আমেরিকান কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ট্রাম্প শুধু এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছেন যে জেরুসালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে বেশি কার্যকর। তারা বলছেন, জেরুজালেমের সীমানা নিয়ে ইসরাইলের অবস্থান এখনও আমেরিকা মেনে নিচ্ছে না, সেটা ঠিক হবে চূড়ান্ত শান্তি মীমাংসায়।
অন্যদিকে ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
কিন্তু এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় নিন্দা জানিয়েছেন প্যালেস্টাইনের নেতা মাহমুদ আব্বাস। আর হামাস ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এই সিদ্ধান্ত এতদ অঞ্চলে ‘নরকের দ্বার খুলে দেবে’। এই ঘোষণা সারা পৃথিবীর মুসলিমদের ঘোরতরভাবে প্ররোচিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান।
এই ঘোষণার প্রতিবাদে ইতোমধ্যেই গাজায় এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মার্কিন কনসুলেটের সামনে মিছিল হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বাঁকবদলকারী সিদ্ধান্তটিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ‘ভীষণ উদ্বেগের মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মে, ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান কূটনীতিক ফেদেরিকা মোগেরিনি-ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন না করে উদ্বেগের বলে মনে করছেন।
সূত্র: বিবিসি
একে/এমআর