রাজধানীতে বিজয়ের আমেজ
আলী আদনান
প্রকাশিত : ০১:৩৯ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:৫৫ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার
রিমন ও আল-আমিন। প্রথম জনের বয়স একুশ-বাইশ হলেও দ্বিতীয় জনের বয়স সতের-এর বেশি নয় বলে দাবি করলেন। দুজনের বাড়িই মাদারীপুর। রিমন ফার্ণিচার মিস্ত্রী। মাসে চৌদ্দ-পনেরো হাজার টাকা আয় তার। আর আল-আমীন বিল্ডিং কনস্ট্রাকশানে রং লাগায়। আয় রিমনের সমানই। আজ সকালে দুজনকেই দেখা গেলো সেগুণবাগিচা এলাকায়। দুজনই পতাকা বিক্রি করছেন স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক লাল-সবুজ পতাকা।
কথা হয় দুজনের সাথেই। হাসিমুখে মাদারীপুরের আঞ্চলিক টানেই বললো, ‘১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে পতাকা বিক্রি করছি’। পতাকা বিক্রি করার জন্য আরও কয়েক বন্ধু মিলে ঢাকায় এসেছেন তারা। ১৬ ডিসেম্বরের পরে ফিরে যাবে গ্রামে। জানতে চাইলাম, ১৬ ডিসেম্বর কী ? একজন বললো স্বাধীনতা দিবস। অন্যজন বলল, ’এদিন দেশ স্বাধীন হইছিলো। এই সবখানে উৎসব হয়’।
আজ সকালেই পতাকা বিক্রি শুরু করেছেন তারা। বড় পতাকার দাম চায় তিনশ টাকা। তবে দেড়শ টাকা হলে বিক্রি করে। কমপক্ষে দু`শ টাকা বিক্রি করার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে। ছোট পতাকায় দর-দাম হয়না। একদাম দশ টাকা। পাঁচ টাকা লাভ থাকে। পতাকার চিত্র সম্বলিত হাতের ও মাথার ব্যান্ডও বিক্রি করেন দুজন। দাম যথাক্রমে দশ ও পনের টাকা। রাজধানীর সেগুনবাগিচার মোড়টিতে তখন শীতের নরম রোদ। আর সহজ-সরল কিশোরদের চোখে মুখে স্বলজ্জ হাসি। তাদের জীবনেও লাগুক সত্যিকারের বিজয়ের আমেজ।
/এমআর