ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত : ১১:১৪ এএম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:৩৩ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার

ইরানের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগে আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি ক্রিচনারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির একটি আদালত। ১৯৯৪ সালে বুয়েন্স আয়ার্সে ইহুদি সম্প্রদায়ের একটি কেন্দ্রে বোমা হামলা চালিয়ে ৮৫ ইহুদিকে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয় ইরানের বিরুদ্ধে। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিচনার ইরানের অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন, এমন অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত এই আদেশ দেন।

বিচারক কার্লোস বোনাডিও এক আদেশে বলেন, বিচার শুরু হওয়ার আগে ক্রিচনারকে গ্রেফতার করতে হবে। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে তাঁর দায়মুক্তির বিষয়টি স্থগিত করেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে দেশটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্রিচনার।
ক্রিচনার ছাড়াও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেক্টর টিমারম্যান ও তাঁর প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রিচনারের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনা হয়।
১৯৯৪ সালে বুয়েন্স আয়ার্সের ইসরায়েল-আর্জেন্টিনার এক যৌথ ইহুদি কেন্দ্রে হিজবুল্লাহ বোমা হামলা চালিয়ে ৮৫ ইহুদিকে হত্যা করে। ওই হামলা ইরান সরকারের আদেশে হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিল ইহুদিরা। শুধু তাই নয়, আর্জেন্টিনার প্রসিকিউটররাও এই হামলার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে দাবি করে আসছিল।
আর্জেন্টিনা ও ইরানের মধ্যে করা যৌথ এক চুক্তির কারণে বিচারকরা ইরানের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে দাবি করা হয় আদেশে।

ওই ইহুদি কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় তদন্তকারী দলের প্রধান নিসম্যান অভিযোগ করেছিলেন, ক্রিচনার ওই হামলার ঘটনায় ইরানের কর্মকর্তাদের ভূমিকাকে ধামাচাপা দিয়েছেন। তবে ওই প্রতিবেদন দেওয়ার পরই, ২০১৫ সালের ১৮মে নিজ বাড়িতে নিসম্যানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। কে বা কারা তাকে খুন করেছে এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি।

তবে প্রাথমিক ময়নাতদন্তে উল্লেখ করা হয়, সরকারের উস্কানিতে নিসম্যান আত্মহত্যা করেছেন। যদিও বর্তমান প্রসিকিউটররা অভিযোগ করে আসছেন, নিসম্যানকে হত্যা করা হয়েছে।

 

সূত্র: আল-জাজিরা

এমজে/এমআর