ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শাকিব অপুর বিচ্ছেদ ঠেকাতে ডিএনসিসি 

প্রকাশিত : ০৫:৪৭ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার

শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিবাহ বিচ্ছেদ ঠেকাতে ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। খুব শিগগিরই তারা সংসার রক্ষার জন্য বৈঠকে বসবে। নগর কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ওই বৈঠকে তাদের এই বিচ্ছেদ ঠেকাতে শেষ চেষ্টা চালানো হবে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, শাকিব খানের কাছে খুব শিগগিরই সালিশের জন্য বিয়ের কাবিননামা চেয়ে নোটিশ পাঠাবে ডিএনসিসি। নোটিশ হাতে পৌঁছানোর পর দুই তারকার পরিবারের অভিভাবকদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসবে কর্মকর্তারা।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, শাকিব খান রানার নামে সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর একটি তালাকনামার নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়রের সহকারী সৈয়দ আবু সালেহ বলেন, যে পক্ষই নগর ভবনে তালাকনামার নোটিশ পাঠাক, তাদেরকে এর সঙ্গে কাবিননামার কপিও সংযুক্তি পাঠাতে হয়। কিন্তু শাকিব খানের তালাকনামার নোটিশের সঙ্গে কাবিননামার কপি পাঠানো হয়নি। এখন তার কাছ থেকে কাবিননামার কপিও চাওয়া হবে। কিংবা তিনি নিজেও পাঠাতে পারেন। এরপর নগর কর্তৃপক্ষই উভয়পক্ষকে ডেকে সংসার রক্ষার জন্য সালিশ বসাবে। সেখানে উভয়পক্ষের সম্মতি পেলে সংসার টেকানোও সম্ভব। তবে তিন মাসের পূর্বে তালাক কার্যকর হবে না।

ডিএনসিসির একজন কর্মকর্তা জানান, শাকিব খান ২২ নভেম্বর তালাক নামার নোটিশ পাঠালেও সেটি ডিএনসিসিতে পৌঁছে অনেক পরে। তবে মুসলিম নিকাহ আইনের ৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শাকিব-অপুকে নিয়ে সালিশ বসানো হবে। এক্ষেত্রে অপু বিশ্বাসকে যেহেতু তালাকের নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাই তার বসবাসের এলাকা নিকেতনের মধ্যে ডিএনসিসির যে জোনাল কর্মকর্তা রয়েছেন তিনিই সালিশি বৈঠকের প্রধান হবেন। জোনাল কর্মকর্তা চাইলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকেও বৈঠকে যুক্ত করতে পারবেন।

ওই কর্মকর্তা জানান, শাকিব খান তালাক নামায় যে সব কারণ উল্লেখ করেছেন সালিশকারীরা সে সব বিষয় মীমাংসা করা চেষ্টা করবেন। তারা দুজন একমত হতে পারলে আবার তারা দাম্পত্য জীবনে ফিরতে পারবেন।  এক্ষেত্রে শাকিব রাজি না হলে দ্বিতীয় মাসেও চেষ্টা করবে সালিশকারীরা। এতে কাজ না হলে তৃতীয়বারের মতো সালিশি বৈঠক বসাবে ডিএনসিসি। তবে ওই সময়ের মধ্যে তারা যদি একমত হতে না পারে তাহলে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।  

 

এসি/এসএইচ