‘দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা’
প্রকাশিত : ০৩:১২ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার
পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটি প্রমাণ করতে না পারলে বিএনপির বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল প্রকল্পে দুর্নীতির যে অভিযোগ করেছেন তা প্রমাণ করতে হবে। প্রমাণ করতে না পারলে বিএনপির বিরুদ্ধেও মামলা করবো।
তিনি ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির বিষয়ে মুখ খোলায় প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ক্ষমা না চাইলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুলের এ হুমকির পরই ওবায়দুল কাদের পাল্টা মামলা করার হুমকি দিলেন। এসময় ১২টি দেশে খালেদা জিয়া ও তার স্বজনদের বিনিয়োগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সৌদি আরবে শপিং মল ও কাতারে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো ও খালেদার ভাই শামীম ইস্কান্দার ১২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। এই খবর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছে। বাংলাদেশি পত্রপত্রিকাও এই খবর প্রচার করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য খণ্ডন করতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরেক সংবাদ সম্মেলনে যে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেছেন সেটাই বিএনপির চরিত্রের আসল বহিঃপ্রকাশ। মির্জা ফখরুলের ওই বক্তব্য কখনও কখনও মনে হয় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা, কখনও মনে হয় সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, কখনও মনে হয় অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার চেষ্টা। মির্জা ফখরুল ধান ভানতে শিবের গীত গেয়েছেন। সত্য বলার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে, তাই তিনি অকপটে সত্য কথা বলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এমজে/ এআর