১৭ বছরে পা রাখলো একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:২৪ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৬ বৃহস্পতিবার
বেসরকারী খাতে দেশের প্রথম টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশন ১৭ বছরে পা রাখলো। ২০০০ সালের ১৪ই এপ্রিল বাংলার চিরায়ত উৎসবের দিন নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু বেসরকারী খাতে প্রথম পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন-একুশে টেলিভিশনের।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৮ মাস একুশে টেলিভিশন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, বৈচিত্রময় অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ করেছে দেশের কোটি দর্শককের মন। হয়ে উঠেছে তাদের আস্থার প্রতিক। শুধু দেশে নয়, উপমহাদেশেও একুশে হয়ে ওঠে গৌরব-অহঙ্কারের নাম।
কিন্তু সাড়া জাগানোর এই চ্যানেলটি ঘোর অমানিশায় স্তব্ধ হয়ে যায় আইনী জটিলতায়। শিকার হয় হয় প্রতিহিংসার রাজনীতির।
একুশে টেলিভিশন বন্ধের পর বছরের পর রাজপথে ছিলো সেসময়ের একুশে সাংবাদিক, কর্মী, কলাকুশলীরা। ২০০৫ সালে আদালত একুশে টেলিভিশন সম্প্রচারের বৈধতা দিলেও সরকার যতটা দ্রুত বন্ধ করেছিলো আদালতের চূড়ান্ত রায় কার্যকরে বন্ধ একুশে খুলে দিতে সেই দ্রুততা দেখা যায়নি। ২০০৭ সালে একুশে আবারো সম্প্রচারের আসার পর থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পার করে ২০১৬ তে এসে পা রাখলো ১৭ বছরে।
এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তার বাণিতে কামনা করেছেন একুশের সাফল্য, গনমানুষের উন্নয়নে ভূমিকার রাখারও আবেদন রয়েছে সেখানে।
সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী-যিনি প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন আজকেও তিনিই প্রধানমন্ত্রী। একুশে টেলিভিশনের নতুন আঙ্গিকে পুনর্যাত্রার সময় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সরকারের সময়ে অনেকগুলো বেসরকারী টেলিভিশনের অনুমোদনে কথা উল্লেখ অবাধ তথ্য প্রবাহ এবং সুস্থ বিনোদনে একুশের ভূমিকা রাখার আশাবাদও বঙ্গবন্ধু কন্যার বাণিতে।
একুশের নতুন পথচলার এই লগ্নে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী, স্পিকার। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার বাণিতে জাতির ক্লান্তিকালে সততার সঙ্গে একুশে টেলিভিশনের ভূমিকা রাখার কথা বলেছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম বলেন, ১৭ বছরে পা দিয়ে তারুণ্যের ঝলক ছড়াবে চ্যানেলটি।
একুশে টেলিভিশন আবারো তার প্রতিষ্ঠাকালীন অঙ্গিকারের পথ ধরে উজ্জল আগামীর পথে দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখবে, সংবাদ-বিনোদনে দেশের কোটি দর্শকের স্বপ্নপুরণের চ্যানেল হয়ে উঠবে- এমন প্রত্যাশা সবার।