ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

তারকা দম্পত্তিদের যত বিচ্ছেদ

প্রকাশিত : ০২:৪৩ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৫:২৮ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার

শুরুতে ভালোলাগা। এরপর প্রেম। প্রেম থেকে বিয়ে। তারপর সুখের সংসার। মধুর এই সংসারে থাকে অসংখ্য স্মৃতি। হাসি, খেলা, আনন্দ, উচ্ছ্বাস- সবকিছুর পরেও মাঝে মাঝে শুনতে হচ্ছে ‘বিচ্ছেদ’ নামের শব্দটি। এই ‘বিচ্ছেদ’ নামের বিষ বৃক্ষটি যখন সামনে উপস্থিত হয় তখন সব আবেক হারিয়ে যায় মুহুর্তে। বিশেষ করে পছন্দের মানুষ, ভালোলাগার মানুষ, স্বপ্নের মানুষদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটলে মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পরে।

সাধারণ মানুষের বিবাহবিচ্ছেদের খবর খুব একটা জানাজানি হয় না। কিন্তু তারকাদের বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে যায় মুহুর্তের মধ্যে। তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে কৌতুহলেও শেষ নেই। আলোচনা হয় অনেক। সমালোচনাও কম হয় না। তারকাদের প্রতি বাড়তি আগ্রহের কারণেই এমনটি ঘটে। কেউ কেউ তাঁদের বিচ্ছেদে দুঃখ প্রকাশ করে। কেউ কেউ শামিল হয় নানা রকম মুখরোচক সমালোচনায়। অনেকে উপহাস করে। তবে তারকাদের এই বিচ্ছেদের প্রভাব সাধারণ মানুষের উপরও পড়ে।

পূর্বেও মিডিয়াতে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরও দেশীয় মিডিয়া অঙ্গনে বেশকিছু বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। অতিপরিচিত তারকাদের মধ্যে- হাবিব-রেহান, তাহসান-মিথিলা, হৃদয় খান-সুজানা, নাদিয়া-শিমুল, মুরাদ পারভেজ-সোহানা সাবা, হিল্লোল-তিন্নিসহ আরও অনেকে রয়েছেন এ তালিকায়। এর আগে শমী কায়সার-রিঙ্গো, হুমায়ুন ফরীদি-সুবর্ণা মুস্তাফা, জয়া আহসান-ফয়সাল দম্পতির নামও এসে যায়। অতি সম্প্রতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের ঘরও ভেঙ্গে গেছে। এরপরই বিচ্ছেদের আলোচনা নতুন মাত্রা পায়।

তারকাদের বিচ্ছেদ নিয়ে আজকের প্রতিবেদনটি সাজানো হয়েছে। অতিপরিচিত নতুন-পুরাতন কিছু তারকাদের বিচ্ছেদের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন- সোহাগ আশরাফ

 

আলমগীর-খোশনুর

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আলমগীর প্রথমে বিয়ে করেন গীতিকার খোশনুরকে। তাদের কন্যা সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর। কিন্তু খোশনুরের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাহিত জীবনের ইতি ঘটিয়ে সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন আলমগীর। এখন তাদের সুখের সংসার।

হুমায়ূন আহমেদ-গুলতেকিন

বিচ্ছেদের মাধ্যমে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ও গুলতেকিনের ৩০ বছরের সংসারের ইতি ঘটে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার পরে হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করেন অভিনেত্রী শাওনকে। তাদের বিয়ে মিডিয়ায় রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছিলো।

হুমায়ুন ফরিদী-সুবর্ণা মুস্তাফা

অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী ও সুবর্না মুস্তাফা নাট্যমঞ্চে একসঙ্গে অভিনয় করতেন। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ফরিদী তার প্রথম স্ত্রী মিনুর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে ১৯৮৪ সালে অভিনেত্রী সুর্বনা মুস্তফাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতি দীর্ঘ ২৪ বছর একসঙ্গে সংসার করেন। ২০০৮ সালে সুর্বনা ডিভোর্স দেন হুমায়ুন ফরিদীকে। এর পরপরই বিয়ে করেন নাট্য পরিচালক বদরুল আনাম সৌদকে। সুর্বনার মুস্তফার চেয়ে ১৪ বছরের ছোট বদরুল আনাম সৌদ।

সোহেল রানা-প্রথম স্ত্রী

স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন চিত্রনায়ক সোহেল রানা। এরপর ১৯৯০ সালে তিনি ডা. জিনাত পারভেজকে বিয়ে করেন। তাদের একমাত্র সন্তান পুত্র মাশরুর পারভেজ জীবরান।

সুচরিতা-জসিম-কেএমআর মঞ্জুর

সুচরিতা প্রথমে বিয়ে করেন চিত্রনায়ক জসিমকে। তাদের মধ্যেও বিচ্ছেদ হয়। এরপর সুচরিতা বিয়ে করেন প্রযোজক কে এম আর মঞ্জুরকে। কিন্তু দীর্ঘ ২৩ বছরের এ সংসারটিও টেকেনি। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী কেএমআর মঞ্জুরের সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়।

ইলিয়াস কাঞ্চন-দিতি

বাংলা চলচ্চিত্রের অসম্ভব জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও জনপ্রিয় নায়িকা দিতি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন একে অপরকে। সন্তানদের কথা চিন্তা করেই নাকি তারা একে অপরের হয়েছিলেন। কিন্তু বেশি দিন টেকেনি এ সংসার। যে সন্তানদের কথা চিন্তা করে তারা এক হয়েছিলেন সেই সন্তানরা একে অপরকে এক পরিবারের ভাবতে পারেননি।

শমী কায়সার-রিঙ্গো

১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের চিত্রনির্মাতা রিঙ্গোকে বিয়ে করেন শমী কায়সার। বিয়ের স্থায়িত্ব ছিল দুই বছর। নানা কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে সেই বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর শমী আবার বিয়ে করেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরাফাত নামের এক শিক্ষককে।

তারিন-সোহেল আরমান

চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের ছেলে অভিনেতা ও পরিচালক সোহেল আরমানের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অভিনেত্রী তারিন। বাবা-মায়ের অজান্তে পালিয়ে গিয়ে ২০০১ সালে তারিন বিয়ে করেন সোহেলকে। ঘটনাটি গোপন রাখার চেষ্টা করলেও পরে জানাজানি হয়ে যায়। এরপর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেঙে যায় সে সম্পর্ক।

তাজিন আহমেদ-এজাজ মুন্না

অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ ছোট পর্দার পরিচালক এজাজ মুন্নাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। তাদের সংসারও টেকেনি বেশিদিন। এজাজ মুন্না বিরুদ্ধে তাজিন মাদকাসক্তি ও পরনারী আসক্তির অভিযোগ তোলায় তাদের সংসারে ফাটল ধরে। তাজিনের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে মুন্না লাক্স তারকা ও অভিনেত্রী মমকে বিয়ে করেন। আর তাজিন বিয়ে করেন এক মিউজিশায়নকে।

বিজরী বরকত উল্লাহ-শওকত আলী ইমন

অভিনেত্রী বিজরী বরকত উল্লাহ ও সঙ্গীত পরিচালক শওকত আলী ইমন একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে ফুটফুটে সুন্দর এক কন্যা সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু তাদের এ বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। ডিভোর্স হয় তাদের। বিজরী পরে বিয়ে করেন অভিনেতা ইন্তেখাব দিনারকে। অন্যদিকে ইমন পরবর্তীতে একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও নতুন করে এখনো আর কাউকে বিয়ে করেননি।

জয়া-ফয়সাল

অভিনেত্রী জয়া মডেল ফয়সালের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ধানমন্ডিতে প্রেমের সোপান হিসেবে একটি ফাস্টফুডের দোকান খুলতেও দেখা যায় তাদের। সুখেই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ অজানা কিছু বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের ঝড় বইতে শুরু করে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। স্বামী ফয়সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান জয়া।

অপি করিম-মাসুদ হাসান উজ্জ্বল

অভিনেত্রী অপি করিম ২০০৭ সালে জাপান প্রবাসী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার তাসির আহমেদকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কিছুদিন ভালোই ছিলেন তারা। তারপর হঠাৎ তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে। অপির মিডিয়ায় ব্যস্ততা এবং মিডিয়ার লোকদের সঙ্গে মেলামেশাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না তাসির। অন্যদিকে তাসিরের বিরুদ্ধেও আগে আরো একটি বিয়ে করাসহ নানা অভিযোগ তোলেন অপি। ফলে বছর না গড়াতেই তাদের সংসার ভেঙে যায়। এরপর অপি প্রেমে পড়েন নাট্য পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের। তারা বিয়েও করেন। কিন্তু সেই বিয়েও বেশিদিন টেকেনি। তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

অপূর্ব-প্রভা

ছোট পর্দার অভিনয় শিল্পী অপূর্ব ও প্রভা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু প্রভা বিয়ের আগে রাজিব নামক এক ছেলের সঙ্গে প্রেম ও অবাদ মেলামেশায় জড়িয়েছিলেন। অপূর্বর সঙ্গে প্রভার বিয়ের কিছুদিন পরে রাজিব ও প্রভার কিছু ভিডিও চিত্র ফাঁস হলে, অপূর্ব ডিভোর্স দেন প্রভাবে। বিচ্ছেদের পর অপূর্ব নতুন সংসার বাঁধেন নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে। এর কিছুদিন পর মাহমুদ শান্ত নামের একজনকে বিয়ে করেন প্রভা।

হিল্লোল-তিন্নি

মিডিয়াপাড়ায় হিল্লোল-তিন্নির বিয়ে বেশ আলোচিত ছিল। এটাও ছিল ভালোবাসার বিয়ে। তিন্নি ধর্মান্তরিত হয়ে মা-বাবাকে ছেড়ে হিল্লোলের কাছে চলে আসেন। এই দম্পত্তির ঘর আলো করে আসে এক কন্যা সন্তান। তবে এই তারকা দম্পত্তির সংসারও টেকেনি। তিন্নির প্রতি মাদক ও পরপুরুষের আসক্তির অভিযোগ তোলেন হিল্লোল। এ নিয়ে দু’জনই দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা-অভিযোগ তোলেন। এক সময়ের গ্লামার গার্ল তিন্নি এখন চিকিৎসকের পরামর্শে রেস্টে আছেন। অন্যদিকে হিল্লোল আরেক মডেল অভিনেত্রী নওশীনের সঙ্গে নতুন করে সংসার পেতেছেন।

আফসানা মিমি-গাজী রাকায়েত

একটি নাট্যদলে কাজ করতে গিয়ে আফসানা মিমির পরিচয় হয় নির্মাতা-অভিনেতা গাজী রাকায়েতের সঙ্গে। পরিচয়ের পর সখ্য। সময়ের ব্যবধানে সেই সখ্য গড়ায় প্রেমে। অতঃপর বিয়ে। কিন্তু বিয়েটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৯৬ সালে বিচ্ছেদ ঘটে আফসানা মিমি-গাজী রাকায়েতের।

জেনি-অমিতাভ রেজা

বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজাকে বাবা-মায়ের অমতে ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেত্রী জেনি। দীর্ঘ প্রেমের বিয়ে হলেও তাদের সংসার বেশিদিন টেকেনি।

রুমানা-আনজাম মাসুদ

লালবাগের হাঁসমার্কা কেশ তেলের বিজ্ঞাপন দিয়ে রুমানা সবার দৃষ্টি কাড়েন। এরপর বিজ্ঞাপন নির্মাতা-অভিনেতা আনজাম মাসুদকে প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু ভালোবাসার রঙ মেশানো সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনে বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন।

জেমস-রথি

জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা জেমস ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেত্রী রথিকে। কিন্তু তাদের এ সংসার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। জেমস প্রেমে মজে গিয়েছিলেন প্রবাসী বেনজির নামের এক তরুণীর প্রেমে। আর এতেই ভেঙে যায় তাদের সংসার।

রবি চৌধুরী-ডলি সায়ন্তনী

সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনীকে। কিন্তু তাদের ভালোবাসার সংসার শেষ পর্যন্ত টেকেনি।

পার্থ বড়ুয়া-শ্রাবন্তী

ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সোলসখ্যাত ব্যান্ড তারকা পার্থ বড়ুয়া এবং অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। কিন্তু খুব বেশিদিন সেই প্রেম স্থায়ী হয়নি।

মোনালিসা-ফাইয়াজ শরীফ

জনপ্রিয় মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মোজেজা আশরাফ মোনালিসা ২০১২ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফাইয়াজ শরীফের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। একই বছরের ম্যাজিক ডে ১২.১২.১২তে ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে মোনালিসা ও ফাইয়াজের বিবাবহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উভয় পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের মাত্র দুই তিনদিন পরই শুরু হয় দু’জনের মধ্যে ভুল বুঝাবোঝি। শেষমেষ বিচ্ছেদ হয়।

হৃদয় খান-সুজানা

হৃদয় খান প্রায় চার বছর ধরে প্রেম করে বিয়ে করেন সাত বছরের বড় সুজানাকে। পত্র-পত্রিকা আর টিভির সামনেও স্বগর্বে নিজের প্রেমের কথা, ভালোবাসার কথা বলেছেন হৃদয় খান। কিন্তু হৃদয় খানের অনেক সাধনার বিয়ে বছর ঘুরার আগেই ভাঙনের মুখে পড়েছে। কারণ, পারস্পরিক সমঝোতা না হওয়া। বিচ্ছেদ হয় হৃদয়-সুজানার।

নাদিয়া-শিমুল

শোবিজ জগতে আলোচিত বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে নাদিয়া ও শিমুলের জীবনে। নাদিয়া শিমুলকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করেন আরেক তারকা নাঈমকে।

বাঁধন-মাশরুর হোসেন

২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে বাঁধনের সঙ্গে মাশরুর সিদ্দিকী সনেটের বিয়ে হয়। সংসার ও মাতৃত্বজনিত কারণে এ নায়িকা অনেকদিন অভিনয় থেকে দূরেও ছিলেন। তবে ২০১৪ সালে বাঁধন ও সনেটের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাদের বিচ্ছেদের বিষয়টি অনেকদিন গোপন ছিলো। তবে চলতি বছরে তা প্রকাশ্যে আসে। বাঁধন ও সনেটের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

সংগীতশিল্পী মিলা-পারভেজ

বিয়ের মাত্র চার মাসের মাথায় সংসার ভেঙে যায় পপ গায়িকা মিলা ও বৈমানিক পারভেজ সানজারির। চলতিবছর ১৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মিলা নিজেই মনোমালিন্যের কারণেই এই ডিভোর্স দেন। মিলা-পারভেজ ১০ বছর প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন।

ন্যান্সি-সৌরভ

ভালোবেসে ব্যবসায়ী সৌরভের সঙ্গে ২০০৬ সালে ঘর বেঁধেছিলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ন্যান্সি। পরের বছরই ঘর আলো করে আসে কন্যা রোদেলা। তবে বছরখানেক ধরে সম্পর্কের টানাপড়েনের পর দুইজনের সম্মতিতেই বিচ্ছেদ ঘটে তাদের।

আরফিন রুমি-প্রথম দ্বিতীয় স্ত্রী

আমেরিকায় শো করতে গিয়ে ২০১২ সালে কামরুন্নেসার সঙ্গে পরিচয় হয় রুমির। এরপর প্রেম ও চটজলদি বিয়ে। কামরুন্নেসাকে বিয়ে করার কয়েক মাসের মাথায় প্রথম স্ত্রী অনন্যার করা নারী নির্যাতন মামলায় কারাগারেও যেতে হয়েছিলো রুমিকে। এরপর বিভিন্ন শর্ত মেনে বছর দেড়েক আগেই অনন্যার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ডিভোর্স হয়ে যায় রুমির। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসাকেও ডিভোর্স দেন এই সংগীত তারকা।

স্পর্শিয়া নির্মাতা রাফসান

জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া ও নির্মাতা রাফসান আহসান। বিয়ের দুই বছরের মাথায় বিচ্ছেদ হয় তাদের। ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। একটি অনলাইন শপের ভিডিওচিত্র নির্মাণের সময় তাদের বন্ধুত্ব তৈরি হয়। সেই থেকে প্রেম। তারপর বিয়ে। চলতি বছরের ২১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে স্পর্শিয়া ও নির্মাতা রাফসানের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়।

নোভা-নাট্যকার রায়হান

মডেল, অভিনয়শিল্পী ও উপস্থাপক নোভার সঙ্গে স্বনামধন্য নাট্যপরিচালক, চিত্রগ্রাহক ও নাট্যকার রায়হান খানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় চলতি বছরের ২৬ আগস্ট। ঢাকা জজকোর্ট কাজি অফিসে তারা দুজনই তালাকনামায় স্বাক্ষর করেন। পারস্পরিক সম্মতিতে এই বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর আগে দেড় বছর প্রেমের পর ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর তারা বিয়ে করেছিলেন।

সারিকা-মাহিম

২০০৬ সালে মডেলিং শুরু করেন সারিকা। তারপর একটি মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাতারাতি তারকা বনে যান। ২০১৪ সালের আগস্টে ব্যবসায়ী মাহিম করিমের সঙ্গে প্রেম করে হঠাৎ করেই বিয়ের কাজটি সেরেছিলেন সারিকা। বিয়ের এক বছরের মাথায় সারিকার কোলজুড়ে আসে কন্যাসন্তান। কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবনেও আসে বিচ্ছেদ।

শখ-নিলয়

শোবিজের আলোচিত তারকা দম্পতি শখ ও নিলয়। ভালোবেসে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি শখ ও নিলয় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন এই জুটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদেরও একই পথে হাটতে হয়।

কণ্ঠশিল্পী সালমা-শিবলী সাদিক

২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি দিনাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ও দিনাজপুরের পিকনিক স্পট স্বপ্নপুরীর স্বত্বাধিকারী শিবলী সাদিকের সঙ্গে হঠাৎ করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সালমা। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি সালমার কোল জুড়ে আসে এক কন্যা সন্তান।

বিয়ের বছর দুয়েক আগে দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে একটি অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করতে গেলে শিবলীর সাথে সালমার পরিচয় হয়। সেই সুত্র ধরেই দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় সম্পূর্ণ ঘরোয়াভাবে তাদের বিয়ে হয়। গত বছর ২০ নভেম্বর একটি রেস্তোরাঁয় তাদের ডিভোর্সের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

তাহসান-মিথিলা
দাম্পত্য জীবনের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটিয়েছেন সেলিব্রিটি জুটি তাহসান-মিথিলা। কিন্তু অফুরন্ত ভালোবাসার কাছে সেই বিচ্ছেদ একেবারেই নগণ্য। গল্পটা এক যুগ আগের। ২০০৪ সাল। ভালোবাসা দিবস এলেই বাড়ির দরজায় ফুল রেখে এসে মিথিলাকে ফোন করতেন তাহসান। তখন দু’জনই শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন তাহসান। সে সময় মিথিলার সঙ্গে পরিচয়।
মিথিলার এক বন্ধু তার ছোট ভাইয়ের জন্য তাহসানের অটোগ্রাফ নিতে যাওয়ার সময় মিথিলাকে সঙ্গে নিয়ে যান তাহসানের বাড়িতে। ওই সময় মিথিলা তাহসানের কিছু গান শুনলেও ভক্ত হননি। সেই প্রথম পরিচয় তাদের। সে থেকে প্রেম।
এ সম্পর্কেই ২০০৪-০৬ সাল পর্যন্ত কেটে যায়। পরে মিথিলার জন্য গান লিখেন তাহসান। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট প্রেমের সম্পর্কের ইতি টেনে বিয়ে করেন তারা। সংসারে যোগ হয় আইরা তাহরিম নামে তাদের একমাত্র কন্যা।
মান-অভিমান ঝগড়া মানুষের জীবনেরই একটি অংশ। জীবনে ভালো কিংবা খারাপ সময় আসবে এটাই স্বাভাবিক। এমন মানসিকতায় বিশ্বাসী তাহসান। বিয়ের পর রিল ও রিয়েল লাইফের সফল জুটির উদাহরণ হয়েই কাজ করেন তাহসান-মিথিলা।
তারপরও এর মাঝেই লুকিয়ে ছিল দূরত্বের বীজ। কয়েক মাস ধরে তেমনই ইঙ্গিত ভাসছিল মিডিয়ায়। তখন সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর না পাওয়া গেলেও অবশেষে দু’জনে একসঙ্গে জানালেন ডিভোর্সের খবর। এরপর কোটি ভক্তদের বিশ্বাস ভেঙে দীর্ঘ ১১ বছরের সংসারের ইতি টানেন তাহসান-মিথিলা। চলতি বছরের মে মাসে তাহসান ও মিথিলার বিবাহ বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

শাকিব খান-অপু বিশ্বাস

সুপারস্টার শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। সময়ের আলোচিত দুই চরিত্র। বিয়ের পর সংসার না করেই বিচ্ছেদ হচ্ছে তাদের। বিষয়টি এখন টক অব দ্য টাউন। ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের ব্যাপারটি কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রেখে তারা দুজন শুটিং অব্যাহত রাখেন। চলতি বছর ১০ এপ্রিল বিকালে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সের ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন অপু।

সেদিন অপু বলেন, ‘আমি শাকিবের স্ত্রী, আমাদের ছেলে আছে।’ আট বছর আগের সে বিয়ের খবর জনসমক্ষে আসার পর দুজনের সম্পর্কের টানাপড়েন তৈরি হয়। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছে যে, শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস নিজেদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দেন। সম্প্রতি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন শাকিব খান।
কিন্তু সম্পর্কের এই করুণ পরিনতির পেছনে কি কারণ তা সঠিকভাবে কেউই পরিস্কার করেননি। যদিও মিডিয়াতে বেশকিছু কারণ উঠে এসেছে তবে তা খুব জোড়াল নয়।
বিয়ের পর অপু মিডিয়া থেকে বিরতি নেন বাধ্য হয়ে। তবে সে কখনই চাননি তার বাইরে শাকিব কারও সঙ্গে জুটি প্রতিষ্ঠিত করুক। তাই অনেকদিন কোনো নায়িকাই শাকিবের সঙ্গে একটি বা দুটির বেশি সিনেমাতে অভিনয় করতে পারেননি। এরপর বুবলীর সঙ্গে যখন সিনেমাতে চুক্তিবদ্ধ হন শাকিব, তখনই স্ত্রীর মর্যাদা চান অপু। সন্তানের স্বীকৃতি চান শাকিবের কাছে। শুরু হয় ঝামেলা।
যদিও এখন পর্যন্ত অপু বিশ্বাস বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে বুবলীর নাম উল্লেখ করেনি। কিন্তু শাকিব খান তার কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন অপু বিশ্বাসের বয়ফ্রেন্ডের কথা। সম্প্রতি অপু তার বিশেষ কোনো এক বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন কলকাতায় এ অভিযোগ শাকিবের। তাও আবার আব্রামকে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে। আর তখনই শাকিব গিয়েছিলেন আব্রামকে দেখতে। সেই সূত্র ধরেই শাকিব তালাকনামা পাঠিয়েছে অপুর বাসায়।

এসএ/