দেশজুড়ে বর্ষবরণ
প্রকাশিত : ০১:১১ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:২৯ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৬ বৃহস্পতিবার
দেশজুড়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মানুষ স্বাগত জানিয়েছে বাংলা নববর্ষকে। সকাল থেকেই জেলায় জেলায় বর্ণিল শোভাযাত্রা বের হয়। নানা রংয়ে সেজে, নেচে-গেয়ে বৈশাখকে বরণ করছে বাঙ্গালি। নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে পুরোনো গ্লানি মুছে নতুন দিন গড়ার প্রত্যয় সবার চোখে-মুখে।
বাংলা নববর্ষ বরণের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা শরু হয় বৈশাখের প্রথম সকালেই।
বরিশালে সকালে চারুকলার আয়োজনে সিটি কলেজে শুরু হয় মঙ্গল গান ও নাচ। বিভিন্ন পোশাকে সেজে পাখি, ষাড় ও পালকিসহ গ্রাম বাংলার নানা লোকপ্রতীক নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি বরিশাল নগরী প্রদক্ষিণ করে।
খুলনায় সকালের শোভযাত্রা নেচে-গেয়ে বৈশাখা উদযাপন করে হাজারো তরুন-তরুনী। এছাড়া দিনভর উৎসবে রয়েছে রকমারী বাঙালী খাবারের আয়োজন ও বৈশাখী মেলা।
ময়মনসিংহে নববর্ষ উদযাপন শুরু হয় বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে। নানা রঙের সাজের বর্ণিল আয়োজনে মুখরিত হয় পথঘাট। এছাড়া প্রথম প্রহরে প্রেসক্লাব সদস্যদের হাঁটা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ঝিনাইদহ সকালে ছিল পান্তা খাওয়ায় আয়োজন। একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সাস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শেণি পেশার মানুষ রঙ বে-রংঙের ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকালে র্যালী শেষে ফারুকী পার্ক প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া শহর জুড়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নববর্ষকে স্বাগত জানাতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
গোপাগঞ্জের লেক পাড়ে শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পরা বৈশাখী গানের মধ্য দিয়ে দিনের সুচনা করেন। এরপর জেলা উদীচী সংসদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ত্রিবেনী শিল্পী গোষ্ঠী মঙ্গল শোভযাত্রা বের করে।
চুয়াডাঙ্গায় ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে মুকুল ফৌজের পরিবেশনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় দিন।
কিশোরগঞ্জে পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে বের হয় শোভাযাত্রায় ছিল রঙ বেরঙের পোশাক ও মুখোশ। এছাড়া বৈশাখী মেলায় আছে ঘুড়ি ওড়ানো, মোরগ লড়াই, লাঠি খেলা।
কুড়িগ্রামে মঙ্গল শোভাযাত্রা, ঘোড় দৌড়, বানর ও সাপের খেলাসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ উদযাপন হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার পৌরসভার পুকুরে ভাসমান প্রদীপ জ্বালিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতের মাধ্যমে নববর্ষকে বরন করা হয়। পরে বটমূলে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি ও নাচ গানে অনুষ্ঠিত হয়।
লক্ষ্মীপুরে র্যালীতে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী গরুরগাড়ী, পালকি, জেলে-কামার-কুমারের ঐতিহ্য শোভা পায়।
মানিকগঞ্জে বৈশাখী শোভাযাত্রায় সাবিস, উদীচী, শিল্পরথ, যোভাত সংঘ, সেঞ্চুরীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেন।
মেহেরপুর নববর্ষের শোভযাত্রায় শুরু হয় শহীদ শামসুজ্জোহা পার্ক থেকে। অংশ নেয় শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ।
নাটেরের কানাইখালী স্টেডিয়াম মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে রানী ভবানীর রাজ প্রাসাদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
নেত্রকোণার মোক্তারপাড়া পুরাতন কালেক্টরেট প্রাঙ্গন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।
রাজবাড়ীতে দুই দিনের মেলায় আছে লাঠি খেলা ও নাগর দোলাসহ নানা আয়োজন।
সাভারে বাংলা সংস্কৃতির নানা প্রতীকী উপকরণ রং বেরংয়ের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিলিপি নিয়ে বের হয় র্যালী।
শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী পালকি ও মুখোশ পড়ে নেচে-গেয়ে পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেয় তরুন প্রজন্ম।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রেসক্লাব কমিউনিটি সেন্টারে পান্থা ইলিশের আয়োজন করা হয়। পরে নারীদের অংশ গ্রহনে হয় বালিশ খেলা।