জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেবে না ইইউ
প্রকাশিত : ০৫:৫৪ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ১০:২৪ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবেনা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। আমেরিকার মতোই ইউরোপও জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে এমন আশা করেছিল ইসরাইয়েল। কিন্তু ইইউ পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগারিনি জানিয়েছেন, তাদের নীতিতে কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।
এতিকে ইসরাইয়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখন ব্রাসেলস সফরে এসে ইইউ নেতাদের সাথে বৈঠক করছেন। গত ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ব্রাসেলস সফর করছেন।
বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে ইউরোপও জেরুসালেমকে তার দেশের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। পাশাপাশি ইউরোপের দেশগুলো তাদের সব দূতাবাস জেরুসালেমে নিয়ে যাবে। রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জেরুসালেম দুই হাজার বছর ধরে ইহুদি জনগণের রাজধানী ছিল।
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের পর ইইউ পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগারিনি বলেন, এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হবে না। ইইউ এ ক্ষেত্রে `আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকেই` অনুসরণ করবে।
মোগারিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের একমাত্র বাস্তবসম্মত সমাধান হচ্ছে দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান, এবং দুই রাষ্ট্রেরই রাজধানী হবে জেরুসালেম। পাশাপাশি তিনি ইহুদিদের ওপর সব ধরণেরও আক্রমণেরও নিন্দা জানান।
ইসরায়েল বরাবরই জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে মনে করে। অন্যদিকে পূর্ব জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী বলে মনে করে। যেটি ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল দখল করে নেয়। তবে জেরুসালেমের ওপর ইসরায়েলের দাবি কখনোই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। ইসরায়েলে সব দূতাবাসগুলোই তেল আবিবে অবস্থিত।
জেরুসালেম ‘ইহুদি, খ্রীষ্টান ও ইসলাম’ এই তিন ধর্মেরই পবিত্র স্থান আছে। ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরায়েলি রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ফিলিস্তিনিসহ বিভিন্ন দেশ ক্ষোভ ও নিন্দা জানায়। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় এ পর্যন্ত চার জন নিহত হয়েছেন।
আর