সরকারের সব সেবা জনগণের দুয়ারে পৌঁছে দিতে চাই : জয়
প্রকাশিত : ০৬:৩৬ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:৩৮ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
জরুরি প্রয়োজনে একটি ফোনকলেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাবে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস অথবা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। একই সঙ্গে ভিকটিমকে উদ্ধার, সহায়তা অথবা অপরাধীকে আটক করবে তারা। বিনামূল্যে ফোন করে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স কিংবা জরুরি ভিত্তিতে পুলিশি সহায়তা দিতে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ডিএমপির সেন্ট্রাল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ‘জরুরি সেবা ৯৯৯’ অপারেট করবে বাংলাদেশ পুলিশ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় দেশের উন্নয়নে বদ্ধ পরিকর। বর্তমান সরকারের এ ধরনের সেবা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতের থাকবে। সরকারের সব সেবা জনগণের দুয়ারে পৌঁছে দিতে চাই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল, পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক প্রমুখ।
‘৯৯৯’ উদ্বোধনের পর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কিংবা পথে-ঘাটে দুর্ঘটনা হতেই পারে। বিশ্বে সব দেশেই এ সেবাটি তাৎক্ষণিক পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আমরাও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তথ্য-প্রযুক্তির যুগে পদার্পণ করছি। আমরা ৯৯৯ সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছি।
তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে মাইলফলক অর্জন। জরুরি সেবা বিদেশে আপনারা দেখেছেন, এখন এটি বাংলাদেশেও উপলব্ধি করবেন। যেটা সবসময় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখতেন।
পুলিশ মহাপরিদর্শ বলেন, কোনো অপরাধ সংঘটিত, প্রাণনাশের আশঙ্কা, দুর্ঘটনা বা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে বিংবা অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন পড়লে ৯৯৯ ডায়াল করলেই সেবা মিলবে। প্রায় এক বছর আগে চালু হলেও জাতীয় এই কল সেন্টারে প্রাথমিকভাবে একইসঙ্গে ১২০টি কল রিসিভ করা হবে বলে জানান আইজিপি।
/ আর / এআর