হাওর অঞ্চলের মানুষের সুখ দুঃখ নিয়ে টেলিছবি ‘দোতারা’
প্রকাশিত : ১১:২২ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
ভাটির হাওরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। রাত যত গভীর হয় বৃষ্টির বেগও ততো বাড়তে থাকে। জইনুদ্দিনের বাড়িটা কুতুবপুর গ্রামের শেষ প্রান্তে। তারপরেই বিশাল হাওর। বাউল শীতাব আলীর একমাত্র কন্যা ময়মুনা জইনুদ্দিনের বিবাহিতা স্ত্রী। সেই সূত্রে বাড়িটার মালিক এখন সে। কিন্তু সে কখনো নিজেকে ঘর জামাই মনে করে না। জইনুদ্দিনের চোখে ঘুম নেই। বৃষ্টি-বাদলার দিনে হাওরের উথাল পাতাল ঢেউ আর বাতাস যখন সহস্র নাগের মত ফুসে ওঠে, তখন জইনুদ্দিন আর ঘুমাতে পারে না। মাটির বেড়ায় ঝুলে থাকা তার সাধের দোতারাটা নিয়ে পা টিপে টিপে ঘর থেকে বের হয়ে বাহিরে এসে দাঁড়ায় জইনুদ্দিন। দোতারাটা গলায় ঝুলিয়ে নেয়। তারপর বারান্দায় রাখা একটি পিঁড়িতে বসে দোতারায় পরম মমতায় হাত বুলাতে থাকে। জইনুদ্দিন দোতারার সংগে বিড়বিড় করে কথা বলতে থাকে, ‘দোতারারে, ও দোতারা তুই কি আমার দুঃখ বুঝস? তোর জন্যই তো সব ছাড়লাম, মা, ভাই-বান্ধব সবাইকে ছাড়লাম...’
ভাটি অঞ্চলের মানুষের এমনই এক চমৎকার গল্প নিয়ে নতুন বছরের শুরুতে আসছে টেলিছবি ‘দোতারা’। হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গের বিভিন্ন হাওর এলাকা ও মনোরম লোকশনে এর দৃশ্যে ধারণ করা হয়েছে।
আর বাংলা মিডিয়া পরিবেশিত গীতিকার আব্দুল মুকিত প্রযোজিত ও সাংবাদিক সৈয়দ রাশিদুল হক রুজেন পরিচালিত মোস্তাক আহমেদের কাহিনী অবলম্বনে এর চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন পার্থ সারথী দাস।
‘দোতারা’য় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৈয়দ রুজেন, ইর্শা খন্দকার, ফোরকান মজুমদার, অধ্যাপিকা জলি পাল, আশিক, সুলতান, শাহানা, বাবুল আহমেদ, রুবেল, গোপাল সুত্রধর, সিমি, এসএম সুরুজ আলী, নয়না, তানসেন, কামলী, নির্ঝর প্রমুখ। সহকারী প্রযোজক সৈয়দ অলিউর রহমান খোকন, চিত্রগ্রহণে রিয়াজুল ইসলাম মুক্তি, রূপসজ্জায় ছিলেন শিপলু রাহাত।
টেলিছবিটি প্রচারের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এটি যে কোনো একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে খুব শিগগিরই প্রচারিত হবে।
এসি/এসএইচ