ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মিরপুরে কাজী-এসপারাগাস ফুড আইল্যান্ডের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত : ০৯:১৭ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:২৮ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

রাজধানীর মিরপুরের কালসীতে যাত্রা শুরু করেছে কাজী-এসপারাগাস ফুড আইল্যান্ড। রাজধানীর পূর্বাচল প্রকল্পের ৩০০ ফিট সড়কে যাত্রা আরম্ভ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া এ প্রতিষ্ঠান এখন মিরপুরের মাটিকাটা-সড়কে তাদের নতুন শাখা চালু করেছে।

২০১৪ এর পহেলা বৈশাখ সর্বপ্রথম একটি শাখা নিয়ে যাত্রা আরম্ভ করে কাজী ফুড আইল্যান্ড। প্রতিষ্ঠানটি শহরবাসীর নজর কাড়ে তাদের ৩০০ ফিটের শাখার মাধ্যমে। খুবই কম খরচে মানসম্পন্ন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার এর আয়োজনের জন্য সবার প্রশংসা কুড়ায় কাজী ফুড আইল্যান্ড। তবে চলতি বছরের ৩০ আগস্ট সিটি কর্পোরেশন তাদেরকে সরিয়ে দিলে কাজী ফুড আইল্যান্ড এবং এসপারাগাস একত্রিত হয়ে কাজী-এসপারাগাস ফুড আইল্যান্ড নামে মিরপুরে গত ২ ডিসেম্বর যাত্রা আরম্ভ করে। কালসী ছাড়াও উত্তরায় তাদের আরও একটি শাখা রয়েছে।

মূলত একটি ছাদের নিচে অনেক ধরনের খাবারের সমারোহ থাকার উদ্দেশ্য নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠনটি। এর অন্যতম কর্ণধার ফুয়াদ সাকী বলেন, “আমরা কোন একটি প্রতিষ্ঠান এখানে না। বরং অনেকগুলো খাবারের প্রতিষ্ঠান আমরা এখানে। কালসীর এখানে আমরা ৪১টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে যাত্রা আরম্ভ করেছি। আমরা শুধু ব্যবসাকে মাথায় রাখি না বরং নগরবাসীকে খুব কম খরচে ভাল খাবার দেবার জন্য কাজ করি আমরা’।

এখানে সাধারণ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কাজ করছেন তরুণ ছাত্র-ছাত্রী ও নারী উদ্যোক্তারা। অনেক কম খরচে এবং বিশেষ সুবিধায় দোকান নিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাদিকুর রহমান সাদ। তার আছে তিন বন্ধু সাদমান, রুমি ও নাঈম।পানীয় বিক্রি করে তাদের প্রতিষ্ঠান ‘লিকার লাউঞ্জ’। অন্যদিকে মোট ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা। এআরএস এর কর্ণধার আরিয়ানা নিপা বলেন, “বাসায় তো রান্না করিই। আর সবাই বলে ভালই রান্না করি। তাই খাবারকেই ব্যবসার উপাদান হিসেবে বেছে নিলাম। ঘরের কাজ করে বিকেল থেকে এখানে সময় দেই”। আপিলিং টাবাখ নামের আরেক খাবারের দোকানের সত্ত্বাধিকারি সাদিয়া ইসলাম বলেন, “আমাদের ঘরে বানানো খাবার যদি বাইরে যেতে পারে তাহলে সেই খাবার বাইরেই তো বানানো যায়। আমাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বাইরের খাবারেই একজন ক্রেতা ঘরের খাবারের স্বাদ পাবে’।

একটি একটি দোকান থেকে প্রতি জন ব্যবসায়ীর মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা মুনাফা হয় বলে জানিয়েছেন কাজী-এসপারাগাস এর আরেক প্রতিষ্ঠাতা কাজী ফারহান বলেন, “ছাত্ররা বা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ব্যবসার জায়গা পান না। আবার তাদের অনেক টাকা অগ্রিম দিতে হয়। সেক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে তাদের পড়াশুনা বা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ব্যবসায়ী হবার সুযোগ করে দিচ্ছি”।

ইতোমধ্যে মিরপুর বাসীর কাছে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে কাজী-এসপারাগাস ফুড আইল্যান্ড। মিরপুরের বাইরে থেকেও লোকজন খাবার খেতে আসছেন এখানে। ফ্লেমার্স ডেন-এ পিজ্জা খেতে এসে ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী লোপা ইটিভি অনলাইনকে বলেন, “৩০০ ফিটে থাকতে অনেক আসতাম এখানে। এরপর সেটা বন্ধ হয়ে গেলে উত্তরায় এত দূর যাওয়া হত না। এখন মিরপুরে চালু হওয়াতে মাঝে মাঝে আসতেছি। এখানকার পিজ্জার দাম অনেক কম কিন্তু চিজ এবং মাংসের পরিমাণ অনেক বেশি”।

আগামীতে উত্তরায় আরেকটি এবং ধানমণ্ডিতে নতুন একটি শাখা চালু করার পরিকল্পনা করছে কাজ-এসপারাগাস ফুড আইল্যান্ড।

 

//এসএইচএস//এসএইচ