পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড
প্রকাশিত : ১০:৫৯ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ১১:০৩ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার
দেশের সবথেকে বড় পর্যটন নগরী কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড। দেশের প্রথম ‘লাইভ সী-ফিশ একুরিয়াম’ দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন পর্যটকেরা। গত ৩০ নভেম্বর সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। শহরের ঝাউতলায় প্রায় ৮০ শতক জায়গার ওপর নির্মিত এ একুরিয়ামে আছে প্রায় ৬০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণী। প্রায় ৫০টি একুরিয়ামে রাখা হয়েছে এসব প্রাণী। এছাড়াও বিলুপ্তপ্রায় মাছদের জন্য আছে একটি জাদুঘর। আগামীতে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
সাগরের অন্যতম হিংস্র মাছ পিরানহা থেকে শুরু করে আছে বাংলার ‘হোয়াইট গোল্ড’ খ্যাত বড় বড় চিংড়ি। শাপলা পাতা মাছ থেকে শুরু করে আছে হাঙ্গরের ছোট প্রজাতির মাছও। এর বাইরে আছে সচরাচর দেখতে না পাওয়া ইল মাছ, জেলী ফিশ, কয়েক প্রজাতির কাঁকড়া এবং মাছের পোনা তৈরির প্রক্রিয়াও। এছাড়াও চারদিক ঘেরা একুরিয়ামের মাঝে দিয়ে হেটে যাবার সময় মনে হবে যেন আপনি সাগরের মাঝে দিয়েই হেটে যাচ্ছেন। মাথার উপরে দেখা যাবে ভাসমান মাছ। অনেকের কাছেই রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতার যোগানদাতা হয়ে উঠছে এ একুরিয়াম।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাওন ইটিভি অনলাইনকে বলেন, “সাগরের নিচের জীব-বৈচিত্র্য দেখার সুযোগ নেই বললেই তো চলে। সেদিক থেকে দেখলে এখানে এসে তার কিছুটা আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। অনেক মাছ দেখছি যা আমরা সাধারণত সরাসরি চোখে দেখতে পারি না”। আরেক পর্যটক দম্পতি রনি-শায়লা বলেন, “কক্সবাজার এসে সৈকত আর ইনানী ছাড়া এখন আর দেখার কিছু নেই। এই একুরিয়ামটা হওয়াতে আরেকটি জায়গা তৈরি হল। আমাদের বেশ ভালই লেগেছে এখানে আসতে পেরে”।
প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, “সাগরের লোনা পানি ছাড়াও মিঠা পানির অনেক ধরনের মাছ ও প্রাণী আছে এখানে। সাধারণ পর্যটকদের পাশাপাশি যারা স্টাডি ট্যু’র বা শিক্ষা সফরে আসেন তাদের জন্যও বেশ উপকারি হতে পারে এ একুরিয়ামটি”।
রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডে একুরিয়াম ছাড়াও আছে একটি খাবারের রেস্টুরেন্ট। পাশাপাশি আগত পর্যটকদের জন্য আছে ছবি তোলার ব্যবস্থা। একুরিয়ামে ঢুকতে প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে ১০০০ টাকা। তবে বর্তমানে প্রচারের জন্য রাখা হচ্ছে ৩০০টাকা।
এসএইচএস/এমআর