‘জিয়াকে সেনাবাহিনীতে রাখাই ছিল ভুল’
প্রকাশিত : ০১:৪৭ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০২:২২ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে একটা কঠিন দু:সময় পাড়ি দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সাত কোটি মানুষের খাদ্য-বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। প্রায় ধ্বংস হওয়া একটা দেশকে পুনর্গঠন করা। এরইমধ্যে বিভীষিকা হয়ে আসে কালো রাত্রি ১৫ আগস্ট। এসময় জিয়াউর রহমান এবং অন্যান্য সেনা কর্মকর্তাদের কী ভূমিকা ছিল তা নিয়ে কথা বলেছেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কে এম শফিউল্লাহ। তিনি মনে করেন, জিয়াকে যুদ্ধপরবর্তী সময়ে সেনবাহিনীতে রাখাই ছিলো ভুল সিদ্ধান্ত। সোলায়মান হোসেন শাওনের নেওয়া তিন পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ শেষ পর্ব।
ইটিভি অনলাইনঃ স্বাধীনতা পরবর্তী প্রসঙ্গে আসি। আপনি দেশের প্রথম সেনাবাহিনী প্রধান। সে সময়ের অবস্থা কেমন ছিল?
কে এম শফিউল্লাহঃ সত্যি কথা বলতে সে সময় আমি একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না। সদ্য স্বাধীন হওয়া এক দেশে আমি তরুণ সেনা কর্মকর্তা। এত বড় দায়িত্ব নিতে আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমি জেনারেল ওসমানী স্যারের কাছে গেলাম। আমি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিতে আপত্তি করায় তিনি বললেন, ‘তুমি আমার সঙ্গে তর্ক করছ? যাও বেরোও।’ এরপর গেলাম কর্নেল রব স্যারের কাছে। তিনি বললেন, ‘সিদ্ধান্ত আরও উপরের।’ তখন ওসমানী স্যারের এডিসি ছিলেন শেখ কামাল। তিনি বললেন, রাষ্ট্রপতি আমাকে ডেকেছেন।
আমি গেলাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে। তিনি বললেন, ‘তুমি নাকি সেনাপ্রধান হতে চাও না?”
আমি বললাম, ‘চাইনি তা বলি নি। তবে এখন আমার সময় হয়নি। সময় হলে হব।’
বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘যাও ওসমানীর কাছ থেকে দায়িত্ব নাও’। তখন আমি ওসমানী স্যারের কাছ থেকে দায়িত্ব নিই। আর তাকে বলি, ‘স্যার আমি ভিকটিমের শিকার’।
আমি মূলত সেসময় প্রস্তুতই ছিলাম না। আমাকে জোর করে ওই পদে বসানো হয়।
ইটিভি অনলাইনঃ সে সময় আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
কে এম শফিউল্লাহঃ সে সময় এমনিতে কোনও চ্যালেঞ্জ ছিল না। তারপরেও যদি বলতে হয়, সে সময় আমাদের শক্তিশালী কোন সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ ছিল না। এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আমিই তখন সামরিক বাহিনীর মধ্যে গোয়েন্দা বিভাগ চালু করি।
তখন এর নাম ছিল ডিএফআই। ডিরেক্টরেট অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স। এটাই এখনকার ডিজিএফআই। তবে অতটা শক্তিশালী ছিল না সংস্থাটি সেসময়ও।
ইটিভি অনলাইনঃ অন্য সবাইকে বাদ দিয়ে আপনিই কেন সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হলেন? জেনারেল জিয়াও তো তখন প্রভাবশালী কর্মকর্তা ছিলেন?
কে এম শফিউল্লাহ : আসলে আমার প্রশ্নও সেটাই। আমিই কেন? মজার কথা হচ্ছে, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগে বঙ্গবন্ধু আমার চেহারাও দেখেননি। তাহলে আমিই কেন? আমি নিজেও উত্তর জানিনা। হয়তো মুক্তিযুদ্ধে আমার বীরত্বের জন্য এমনটা করেছেন।
আর জেনারেল জিয়া প্রসঙ্গে যদি বলি, তিনি আর আমি একই ব্যাচের ছিলাম। পাক আর্মিতে তিনি শুধু সিরিয়ালে আমার ১ নম্বর আগে ছিলেন। সে হিসেবে তিনি আমার সিনিয়রই। তাকে কেন সেনাবাহিনী প্রধান করা হয়নি তার সঠিক কারণ আমি জানি না। তবে আমি মনে করি, তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্যই তাকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয় নাই। তাকে যুদ্ধকালীন সময় থেকেই পছন্দ করা হচ্ছিল না।
ইটিভি অনলাইন : কেন পছন্দ করা হচ্ছিল না?
কে এম শফিউল্লাহ : যুদ্ধকালীন কিছু কর্মকাণ্ডে তিনি বিতর্ক তৈরি করেন। তাকে যুদ্ধের ময়দানে কয়জন দেখেছে বলতে পারবেন? এছাড়া তিনি জেনারেল ওসমানীর সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে যান। তার কর্মকাণ্ডের জন্যই মূলত তাকে সেসময়ের রাজনীতিকেরা পছন্দ করছিলেন না। মূলত জিয়াকে সেনাবাহিনীতে রাখাই ছিল একটা ভুল সিদ্ধান্ত।
ইটিভি অনলাইন : আপনাকে বঙ্গবন্ধু নিজে সেনাবাহিনী প্রধান করেন। সেই তাকেই আপনি রক্ষা করতে পারেননি। এরজন্য আপনাকে নিয়ে অনেক বিতর্কও হয়। কীভাবে দেখেন পুরো বিষয়টিকে?
কে এম শফিউল্লাহ : আমি আগেই বলেছি, আমি ‘ভিক্টিমাইজড’। আমি ইতিহাসের শিকার। আমি সেনাপ্রধান হলেও আমার কিন্তু সরাসরি কোনো ক্ষমতা ছিল না। যে আমি নিজে ডিএফআই তৈরি করলাম ১৯৭৪ সাল থেকে সেই সংস্থাকে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যুক্ত করা হল। আমার কাছে তখন ডিএফআই প্রধান রিপোর্ট করেন না। আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্যও ছিল না। আমি তাহলে কী করব? সবাই সব কিছু জানত শুধু আমি জানতাম না।
তারপরেও যদি বলি, সে রাতের (১৫ আগস্ট) ঘটনার খবর জানার পর থেকে টানা ৩দিন আমি এক কাপড়ে ছিলাম। ৪৬তম ব্রিগেড সব থেকে কাছে ছিল। এর অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাফাত জামিলকে আমি নির্দেশ দিয়েছি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ট্রুপস পাঠাতে। ১, ২ আর ৪ নং বেঙ্গল রেজিমেন্টকে পাঠাতে নির্দেশ দিই। প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করতে এবং বিদ্রোহী সেনাদের দমন করতে বলি। কিন্তু সে শেষ পর্যন্ত আমার নির্দেশ পালন করেনি । কেন নির্দেশ পালন করেনি তা জানি না।
সে আমার নির্দেশ পালন করলে হয়তো এমন হত না।
ইটিভি অনলাইনঃ সে রাতের ঘটনা যদি একটু বলেন...
কে এম শফিউল্লাহঃ সে রাতে (১৫ আগস্ট) আমার ব্যাটম্যান ঘুম থেকে ডেকে তুললেন। দেখি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন কর্ণেল সালাহউদ্দীন। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমি শহরের দিকে ট্রুপস পাঠিয়েছি কী না? প্রশ্নটা শুনেই আমার শিরদাড়া দিয়ে একটা হিম স্রোত বয়ে গেল। আমি বললাম, “না। আমি পাঠাইনি”। আমি তখন আমার লাল টেলিফোন দিয়ে প্রেসিডেন্টকে ফোন করি। কিন্তু ব্যস্ত পাই। এরপর শাফাত জামিলকে ফোন করি। সেটাও ব্যস্ত পাই। এরপর কর্ণেল জামিলকে ফোন করি। জামিল তখন ডিএফআই’তে ছিল। সে আমাকে জানায়, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট তাকে ৩২নম্বরে যেতে বলেন। উর্দি পড়া কিছু লোক তার বাসায় আক্রমণ করে। আমি কর্ণেলকে জামিলকে বলি- প্রেসিডেন্টকে অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে। কিন্তু সে নিজেও নির্দেশ পালন করতে গিয়ে নিহত হয়।
যাই হোক, আমি এরপর জেনারেল শাফাত জামিলকে লাইনে পাই। রাষ্ট্রপতির বাসার দিকে ট্রুপস কেন যাচ্ছে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, সে কিছুই জানে না। তখন তাকে আমি ওই নির্দেশ দেই।
এরপর আমার কথা হয় জিয়া আর খালেদ মোশাররফের সঙ্গে। জিয়া অনেকটা অবহেলা করে সব শুনে আমাকে বলেন, “তাই নাকি”? মনে হচ্ছিল সে আমার কথা বিশ্বাসই করছিল না। যাই হোক, এরপর তারা আমার বাসায় আসলে তাদেরকে নিয়ে আমি আমার কার্যালয়ে যাই।
ইতোমধ্যে তারা আমার বাসায় আসার আগেই বঙ্গবন্ধুকে আমি টেলিফোনে পাই। সঠিক সময়টা মনে না থাকলেও অবশ্যই তা ভোর ৬টার আগে। তিনি বলেন, ‘ওরা মনে হয় কামালকে মেরে ফেলবে। তোমার সৈন্য পাঠাও তাড়াতাড়ি’। আমি বললাম, ‘আমি কিছু একটা করছি। আপনি কী কোনভাবে বাসার বাইরে যেতে পারেন?’ আর তার কোন উত্তর পাইনি। আফসোস! সেনাবাহিনী প্রধান হয়েও আমার কাছে কোনো সৈন্য ছিল না। এর কিছুক্ষণ পর আমার এডিসি জানায় রাষ্ট্রপতি নিহত হয়েছেন।
ইটিভি অনলাইন : আপনি বলছিলেন এই ঘটনার কথা আগে থেকেই সবাই জানত। শুধু আপনি জানতেন না। কারা কী জানত?
কে এম শফিউল্লাহ : ১৭ আগস্ট রেডিও স্টেশনে রশীদের সঙ্গে আমার কথা হয়। তাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম এই ঘটনা কে কে জানত? সে বলল, সিনিয়র সবাই জানত। শুধু আপনি জানতেন না। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে কেন বললে না? সে বলল, বললে আপনি রাজি হতেন না।
পরে জানতে পারলাম, খালেদ মোশাররফের কাছে পরিকল্পনার অংশ নিয়ে ওরা (খুনিরা) আলোচনা করে। খালেদ মোশাররফ তাদের ধমকে বের করে দেন। তার অফিস থেকে আমার অফিস মাত্র ৫০ গজ। কিন্তু সে আমাকে জানায়নি। এছাড়া অন্যরাও জানত। শুধু আমি ছাড়া। এমনকি জিয়াও জানত।
ইটিভি অনলাইন : অনেকেই বলে থাকেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়া জড়িত। আপনি কী বলবেন?
কে এম শফিউল্লাহ : অবশ্যই জিয়া জড়িত। জিয়া শুরু থেকেই সব জানত। রশীদ আমাকে নিশ্চিত করেছে যে, তারা যখন জিয়ার কাছে যায় তখন জিয়া বলে যে, একজন সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে সে নিজে অংশ নেবে না। তবে অন্য সবধরনের সহায়তা দেবে। তো এ থেকে তো বলাই যায় যে, জিয়া এর সঙ্গে জড়িত। জিয়া মূলত শুরু থেকেই অনেক উচ্চাকাংখী ছিলেন। আমি সেনাপ্রধান হবার পর থেকেই সে বাহিনীতে ‘সমস্যা’ শুরু করছিল। এমনকি আমাকে আটক করে রেডিও স্টেশনে নিয়ে যেতে আমাকে নিয়ে যখন ডালিম বের হচ্ছিল তখন জিয়া ডালিমকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল, ‘ডালিম ওয়েল ডান’। তার উচ্চাকাংখী মনোভাবের কারণেই এমনটা হয়েছে।
এখানে আরেকজন মূল হোতা ছিলেন। খন্দকার মোশতাক আহমেদ। সে শুরু থেকেই রাষ্ট্রপতি হতে চাইত। মূলত মোশতাকই জিয়া এবং অন্যদের ব্যবহার করেন।
ইটিভি অনলাইন : জিয়া এখন বেঁচে নেই, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। এরজন্যই কী জিয়াকে দায়ী করছেন আপনারা?
কে এম শফিউল্লাহ : জ্বি না। ঘটনা আসলেই এমন। আর শুধু আমিই না; সেসময় তো আরও সবাই ছিলেন। তারাও এমনটা বলবেন। যদি তাই না হয় তাহলে আমাকে বলেন জিয়া কেন বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুনর্বাসন করলেন? তাকে যখন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিষয়ে জানানো হল, সে কেন এত নির্লিপ্তভাবে বললেন, “তো কী হয়েছে? ভাইস প্রেসিডেন্ট তো আছে”। এই কথাগুলো কেন?
ইটিভি অনলাইন : আপনারা কেন ঘটনার প্রতিবাদ করলেন না? কেন ওই সরকারকে ক্ষমতায় বসতে দিলেন?
কে এম শফিউল্লাহ : আমি একা কী করব? আমি সেনাবাহিনী প্রধান হলেও আমার কাছে তো কোন সৈন্য নেই। আমাকে মেজর ডালিম যখন আটক করতে আসে তখন তার অস্ত্রের নল আমার এত কাছে ছিল যে, আমি আমার চেয়ারে বসেই তার অস্ত্রের নাগাল পাচ্ছিলাম। সে যখন আমাকে বলে, ‘আপনাকে প্রেসিডেন্ট (মোশতাক) ডেকে পাঠিয়েছেন’। আমি বলেছি, ‘আমি যতদূর জানি প্রেসিডেন্ট মারা গেছেন’। সে বলেন, ‘এখন প্রেসিডেন্ট মোশতাক’। আমি বলি, ‘সে তোমার প্রেসিডেন্ট। আমার প্রেসিডেন্ট একজনই। বঙ্গবন্ধু’। খন্দকার মোশতাক তো এরপর আমাকে বিদেশেই পাঠিয়ে দিলেন। আমি বলেছিলাম যে আমি বিদেশ যাব না। সে বলে, দেশে থেকে কী করবেন? দেশে থাকলে বঙ্গবন্ধুর মত পরিনতি হতে পারে। তখন বাধ্য হয়ে বিদেশ চলে যাই।
ইটিভি অনলাইন : ওই সময়গুলোতে এরশাদের ভূমিকা কেমন ছিল?
কে এম শফিউল্লাহ : এরশাদ স্বার্থপর এবং সুবিধাবাদী মানুষ। যেদিকে পাল্লা ভারী সেদিকেই যান। যুদ্ধের সময় কোথায় ছিলেন জেনারেল এরশাদ? তিনি তখন ‘চুপ’ মেরে ছিলেন। দেশ স্বাধীন হলো। দেশে এসে আর্মিতে যোগ দিলেন। জিয়া এবং এরশাদকে সেনাবাহিনীতে রাখাই ছিল ভুল।
ইটিভি অনলাইন : আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানতে চাই। কী করছেন এখন?
কে.এম.শফিউল্লাহঃ এখন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। এর বাইরে লেখালেখি চলছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সময় কাটাই।
ইটিভি অনলাইন : যে লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ করলেন সেই লক্ষ্য কী পূরণ হয়েছে? মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থা কেমন এখন?
কে এম শফিউল্লাহ : লক্ষ্য তো পূরণ হয়-ই নি। বরং অনেক পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমাদের। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে কিছুদিন ভালো থাকি আমরা (মুক্তিযোদ্ধারা)। তবে আওয়ামী লীগের মাঝেও কিছু ব্যক্তি আছেন যাদের জন্য আমরা কাংখিত মূল্যায়ন এখনও পাচ্ছি না।
আর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা যদি বলেন তাহলে বলব তাদেরকে ভাতা দিয়ে আর কিছু অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে যথাযথ সম্মান দেওয়া যায় না। আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, তাদের জন্যই আমরা আজকের স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তাদেরকে তাই সে মূল্য দিতে হবে।
ইটিভি অনলাইনঃ একদম শেষে এসে আমাদের পাঠকদের জন্য কিছু বলেন।
কে এম শফিউল্লাহ : এটুকু বলব যে, এখন বিজয়ের মাস। বাঙ্গালীদের আশা জাগানিয়া মাস। রক্ত দিয়ে কী লাভ হবে তা চিন্তা না করেই রক্ত দিয়েছি। সফল হয়েছি। এখন যেকোনো পাকিস্তানির সামনে মাথা উচু করে আঙ্গুল তুলে কথা বলতে পারি। এখন তরুণদের সময় এ যাত্রা অব্যাহত রাখার।
ইটিভি অনলাইন : আমাদের সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কে এম শফিউল্লাহ : আপনাকেও ধন্যবাদ। ইটিভি অনলাইনের প্রতি শুভ কামনা।
/ এআর /