অভিনয়ের পাশাপাশি সংসারও সামলান দীপা ও সুইটি
প্রকাশিত : ০৮:১৪ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৮:১৪ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার
দিপা খন্দকার এবং তানভিন সুইটি। বাংলার ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ৯০ এর দশক থেকেই অভিনয় দিয়েই দর্শকদের মন জয় করেছেন তারা। তবে দর্শক মাতানো ছাড়াও সংসার জীবনেও বেশ পটু তারা।
সম্প্রতি ইটিভি অনলাইনের সঙ্গে বিশেষ এক আলাপে এসব কথা জানান এ দুই অভিনেত্রী। দিপা খন্দকার বলেন, “পর্দার সামনে আমাদেরকে যেমনই লাগুক আমরাও খুব সাধারণ জীবন যাপন করি। নাটকে যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে বেড টি খাই সেখানে বাসায় থাকলে নিজেই সেই চা বানাই।”
সুইটি বলেন, “নাটকের একটি চরিত্রের মতই সংসার জীবনেও আমরা একটি চরিত্র পালন করি। আর সেই জীবন পুরোটাই একটি নাটক। সেখানেও আমাদেরকে কিছু কাজ করতে হয়।”
শিশুদের ওপর তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষতিকর দিক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দিপা বলেন, “আমার সন্তানের বয়স এখন ১০ বছর। ও আজ না হোক কাল ইন্টারনেটের কারণে কিছু আপত্তিকর জিনিস দেখবে। এগুলোর সংস্পর্শে আসবে। সে সেখানে গিয়ে ভুল এবং নেতিবাচক কিছু শেখার আগেই আমার মনে হয় আমারই তাকে বিষয়গুলো বুঝিয়ে দেওয়া। বন্ধুর মত খোলামেলা আলাপ করে এর ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা। এতে করে সেও সচেতন হবে।”
বিভিন্ন সময় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে আপত্তিকর খবর ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে সুইটি বলেন, “এ ধরনের খবরে আমাদের সামাজিক জীবনে একটা প্রভাব পরেই। কিন্তু পারিবারিক জীবনে খুব একটা সমস্যা হয় না। কারণ আমাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধনগুলো অনেক শক্তিশালী। তবুও এ ধরণের খবর কাম্য নয়। কিছু অনলাইন পত্রিকা এমনটা বেশি করে থাকে। এমনভাবে নিউজের শিরোনাম দেয় যা মূল খবর থেকে একেবারেই ভিন্ন। এগুলোর ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।”
এসময় সেলফি’কে বিড়ম্বনা হিসেবেও মন্তব্য করেন তারা। সুইটি বলেন, “আগে আমরা অটোগ্রাফ দিতাম। সুন্দর কিছু বাংলা কথা যেমন- ভালো থেকো, শুভ কামনা রইল; এসব লিখতাম। এখন আর তা হয় না। হঠাৎ করে কেউ এসে সেলফি তুলছে। যদিও আমরা দর্শকদের না বলতে পারি না কেননা তাদের জন্যই আমরা। কিন্তু সেলফি অনেক সময়ই বিড়ম্বনা।”
দিপা বলেন, “বেশিরভাগ সময়ই যারা সেলফি তোলেন তাদেরকে আমরা চিনি না। তাই অনেক সময় বিতর্কিত কিংবা নেতিবাচক মানুষরাও আমাদের সঙ্গে সেলফি তোলেন। তবে সেলফি তোলার সময় আমরা তাদের আসল পরিচয়টা জানি না। তবে সেলফির কারণে পরে আমাদেরকে বিড়ম্বনায় পরতে হয়। অনেকেই বলে যে, কেন আমরা এমন মানুষদের সঙ্গে সেলফি তুলি বা আমরা মনে হয় তাদের পূর্ব পরিচিত। বিষয়টি আসলেই এমনটা নয়।”
//এসএইচএস//এসএইচ