ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে স্বাধীনতাবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে অবিচল থাকার অঙ্গীকার গণজাগরণ মঞ্চের

প্রকাশিত : ১০:৫৭ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:৫২ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ শুক্রবার

তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে স্বাধীনতাবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে অবিচল থাকার অঙ্গীকার করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। গেল তিন বছরে তরুণদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে না পারার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছেন মঞ্চের মুখপাত্র ডাক্তার ইমরান এইচ সরকার। অন্য নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক শক্তিগুলোর অসহযোগিতায় অনেকটাই ম্লান হতে বসেছে তাদের আন্দোলন। তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, সময়ের প্রয়োজনে তরুণরা জেগে উঠতে পারে, এ আত্মবিশ্বাসই আন্দোলনের মূল অর্জন। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণার পরই; গণরোষে ফেটে পড়ে আপামর জনগণ। একাত্তরের কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নেয় তরুণরা। মূলত: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক থেকেই আন্দোলনের শুরু। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের দেখানো পথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সব বয়েসী মানুষের ঠিকানা হয় শাহবাগ প্রজন্ম চত্ত্বর। গঠিত হয় গণজাগরণ মঞ্চ। শাহবাগ থেকে অন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ফাঁসির দাবিতে টানা সতের দিন স্লোগানে-স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ। গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের পরই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট সংশোধন করে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের বিধান করা হয়। সেই সঙ্গে একে একে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ও দ্রুতই কার্যকর হচ্ছে। গণজাগরণ মঞ্চের বিভেদে অনেকটাই ম্লান হয়ে যাচ্ছে আন্দোলন। তবে কি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে নতুন প্রজন্ম? তা মানতে নারাজ রাষ্ট্রবিজ্ঞানিরা। গত এক বছরে তরুণদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে না পারার সহজ স্বীকারোক্তি ইমরানের। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত আসলে ঘরে বসে থাকবে না তরুনরা। এই বিশ্বাসই যোগান দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।