ঢাকা, শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫,   পৌষ ২৭ ১৪৩১

জেরুজালেম ইস্যুতে নিরাপত্তা কাউন্সিলে ভোট আজ

প্রকাশিত : ০৭:২৫ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ সোমবার

জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলে জেরুজালেম ইস্যুতে ভোট হতে পারে বলে জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে গণভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে নিরাপত্তা কাউন্সিল। সোমবার গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল-আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে হস্তান্তরের সিদ্ধান্তও নেন তিনি। ওই বিষয়ে মিশরের তৈরি করা একটি খসড়া নিউইয়র্কের আল-জাজিরার এক প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করে ওই খসড়ায় বলা হয়, “জেরুজালেম ইস্যুতে সম্প্রতি যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আল-জাজিরার প্রতিবেদক মাইক হানা বলেন, মিশর ও ব্রিটেনের মতো কয়েকটি দেশ নিজেদের এই ইস্যুতে নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো বিষয়টি রাখতে চায় বলেও জানান তিনি।

তবে তাদের এই খসড়া ফিলিস্তিনি নেতাদের খুব বিক্ষুব্ধ করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি নেতাদের দাবি ওই খসড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করে ভোট আয়োজন করতে হবে।

তবে ওই খসড়া থেকে জানা গেছে, জাতিসংঘের নেওয়া নীতিমালার আলোকেই জেরুজালেম সমস্যার সমাধান করতে হবে। অন্য কোন উপায়ে এ সংকটের সমাধান করার চেষ্টা করা হলে তা বৈধ হবে না, ওই চেষ্টা ব্যর্থ হবে। ওই খসড়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকে তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে না নেওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল ৫টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত। জাতিসংঘের যে কোন সিদ্ধান্তে ওই স্থায়ী দেশগুলোর যে কোন একটি ভেটো দিলে তা আর বাস্তবায়ণ হয় না। ৫টি স্থায়ী দেশ হল, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র । ফিলিস্তিনসহ বেশ কয়েকটি দেশ চাইছে এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা কাউন্সিলের নেওয়া উদ্যোগে ভেটো দিলে, বিষয়টি সাধারণ কাউন্সিলে উপস্থাপনের জন্য সেই কাউন্সিলে নিয়ে যেতে চায় তুরস্ক ও ফিলিস্তিন। এতে মুসলিম দেশগুলোর সমর্থন রয়েছে বলে জানা গেছে।