ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়িটি এখন সৌদি যুবরাজের

প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ির মালিক সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। দু’বছর আগে ফরাসি বাড়িটি তিনি কিনলেও এতোদিন তার নাম জানা যায়নি। গত রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এই খবর প্রকাশ করে।

মার্কিন গনমাধ্যমে বলা হয়েছে, দুই বছর আগে ফ্রান্সের শেতো লুই কেদভ নামের বাড়িটি ৩০০ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ২৪০০ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়েছিল। তখন ফরচুন ম্যাগাজিন একে বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলো।

৫৭ একরের আকাশচুম্বী ওই বাড়িতে রয়েছে স্বর্ণপাতার ঝরনা, মার্বেলের ভাস্কর্য এবং আঁকাবাঁকা গাছের বেড়ার দেয়াল, যা গোলক ধাঁধার সৃষ্টি করে। এখানে রয়েছে মুভি থিয়েটার, মদপানের কক্ষ, পানির নিচে স্বচ্ছ চেম্বারসহ নানা বিনোদনমূলক ব্যবস্থা। প্রাসাদের চোখ ধাঁধানো এসব তথ্য জানা গেলেও তখন এই বাড়ির ক্রেতার নাম কেউ জানাতে পারেনি।

পরে এ-সংক্রান্ত নথি বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই এই বাড়ির ক্রেতা। একে সৌদি যুবরাজের অসংযত ক্রয়গুলোর একটি বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। ৫০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ইয়ট এবং ভিঞ্চির আঁকা ৪৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের চিত্রশিল্প ক্রয় নিয়ে সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে বিতর্ক রয়েছে। দেশের ভেতরে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালানোর মধ্য দিয়ে নিজের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করে বিদেশে বিলাসিতা করছেন বলেও দাবি করছে মার্কিন গনমাধ্যম।

সিআইএর সাবেক পরিচালক এবং লেখক ব্রুস ও লেইডেল মনে করছেন, ‘সৌদি যুবরাজ নিজের ভাবমূর্তি গড়েতে নিজেকে ভিন্ন ধারার বলে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। তিনি দেখাতে চাচ্ছেন তিনি আলাদা চরিত্রের, তিনি একজন সংস্কারক, অন্তত সমাজ সংস্কারক এবং তিনি দুর্নীতিবাজ নন। তবে এসব বিলাসী কেনাকাটা তার ভাবমূর্তির ওপর একটি ভয়াবহ আঘাত।’

শেতো লুই কেদভ বাড়িটির মালিকানা সতর্কভাবে ফ্রান্স ও লুক্সেমবার্গের শেল কম্পানির নামের আড়ালে রাখা হয়েছিল। রাজপরিবারের উপদেষ্টারা বলেছেন শেতো লুই এর চূড়ান্ত মালিকানা মোহাম্মদ বিন সালমানের। সপ্তদশ শতকে নির্মিত এই প্রাসাদটিতে একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির মিশেলে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এর ঝরনা, লাইট, সাউন্ড সিস্টেম এবং নিঃশব্দের এয়ার কন্ডিশনারগুলো আইফোনের মাধ্যমে দূর নিয়ন্ত্রিত।

সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস

একে// এআর