বিশ্বের শীর্ষ ৩০ বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম হবে একটি : অর্থমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১১:১৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ৩০ কন্টেইনার বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম অন্যতম একটি বন্দর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আয়োজিত জাতীয় ‘অর্থনীতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদান’ শীর্ষক ওই সেলিব্রেটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান। উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুস সামাদ, চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরটি বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কন্টেইনার পোর্টের মধ্যে পাঁচ ধাপ অতিক্রম করে ৭১ তম অবস্থানে উন্নিত হয়েছে। গত ১৯৭২ সাল থেকে বন্দরটির সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক বিদ্যমান। আজকের এ সাফল্যজনক অবস্থানে আসতে বন্দরটিকে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে।তার পরেও সব সমস্যা মোকাবেলা করে এ সফলতা অর্জনের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, আমি আশা করি আগামী ১৩ বছরের মধ্যে বিশ্বের ৩০টি শীর্ষ বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর হবে অন্যতম একটি বন্দর।বন্দরের সঙ্গে যারা নিয়োজিত আছেন তারা সে লক্ষ্য নিয়ে-ই কাজ করবেন, আমার আশা পূরণ করবেন। দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিবেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশ স্বাধীনের পর আমাদের রফতানি ভলিয়ুম ছিল ৩৪৮ মিলিয়ন। এখন আমাদের রফতানি ভলিয়ুম বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। রফতানির এ প্রবৃদ্ধি আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলছে।আমরা ২০৫০ সালে ২২তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার আশা করছি। এ জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে বলবো রফতানির কাজ যেন সহজ হয়, সে জন্য রফতানিকারকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আপনারা দিবেন।
নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর নেতৃত্বে গত নয় বছরে চট্টগ্রাম বন্দর ৭১তম অবস্থানে উঠে এসেছে। আমরা এ বন্দরের আধুনিকায়নে গত ২০১২ সালে ডিজিটাল পদ্ধতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি যোগ করি। এসব কারণে বন্দরটির ঈর্শনীয় সাফল্য এসেছে। তবে আমাদের মঙলা বন্দরটিতে ৪ দলীয় জোট সরকার গলা টিপে হত্যা করছিল বিধায় সেখানে সাফল্যটা কষ্টের হয়ে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক বিশ্বের পুরানো সংবাদমাধ্যম ‘লয়েডস লিস্ট’ এর ২০১৬ সালের জরিপে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কন্টেইনার পোর্টের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পাঁচ ধাপ এগিয়ে ৭১ তম অবস্থানে উন্নিত হয়েছে। ২০১৫ সালের জরিপে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৬তম। ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৯৮তম। বিগত ৮ বছরের চট্টগ্রাম বন্দর তার কর্মদক্ষতা এবং সর্বোচ্চ হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ২৭ ধাপ এগিয়ে এ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
বন্দরের কাজ আরও এগিয়ে নিতে এরই মধ্যে ২৭৭টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে। ১১টি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৪টি স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ার, ৫টি কন্টেইনার মুভার, ৬টি গ্যান্টি ক্রেন, ৪টি রীচ স্ট্যাকার এবং একটি রেল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান আছে।
আর