ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

গাজীপুরের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে

প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার

গাজীপুর থেকে প্রথম শুরু হয়েছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ ও সম্মুখযুদ্ধ। বিজয়ের ঠিক আগে এখানেই হয়েছিল হানাদার পাকিস্তানিদের সঙ্গে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। অথচ এখনও গাজীপুরের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন ও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক। 

ডিসেম্বরের শুরু থেকেই গাজীপুরে পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক যুদ্ধ শুরু হয়। রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে হানাদার বাহিনীর গুলাবারুদসহ ট্যাঙ্ক-লরি ছয়দানা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় কাশিমপুরে মিত্রবাহিনীর শেলের আঘাতে ধ্বংস হয়।
১৫ ডিসেম্বর সকালে জয়দেবপুরসহ আশেপাশের এলাকা হানাদার দখলমুক্ত হয়। তবে ছয়দানাতে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ চলে ১৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত। বিজয়ের ঠিক আগে ঢাকার কাছে এটাই ছিল দখলদারদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভাওয়াল রাজবাড়ীর কাছে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরপরাধ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করে পুঁতে রাখা হতো। মুক্তিযুদ্ধে স্মুতিবিজড়িত এই জায়গাটিসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
তবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন রক্ষা ও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

এসএইচ/