ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ জানুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ২ ১৪৩১

সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে ইউনিসেফের সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ বৃদ্ধি

প্রকাশিত : ০৬:৫৯ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার

বাংলাদেশে শিশুদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং শিশু আদালতকে আরও শিশুবান্ধব করার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ আদালত এবং ইউনিসেফের মধ্যে বিদ্যমান সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আয়োজিত এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্যমান এ চুক্তির মেয়াদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ইউনাইটেড ন্যাশনস চিলড্রেন্স ফান্ড বা ইউনিসেফ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শিশু অধিকারবিষয়ক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কমিটির সঙ্গে কাজ করে আসছে। চুক্তি মেয়াদ বৃদ্ধির এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিয়া।

তিনি বলেন, “শিশুদের বিচার করার সময় আদালতকে আরও অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে হবে। বিচারকদের বিচারক হিসেবে কম বরং অভিভাবক হিসেবে কাজ করতে হবে। তাদেরকে একটি ‘ডাইভিং ফোর্স’ হিসেবে কাজ করতে হবে যেন শিশু আইন ও বিচারের সঙ্গে জড়িত সবাই যেন ঠিকভাবে কাজ করে তা তদারকি করা যায়।” এসময় শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর যদি তা করা যায় তাহলে আমরা আগামীতে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ পাব।” এসময় দেশে শিশুদের ন্যায়বিচার নিয়ে কাজ করার জন্য ইউনিসেফকে ধন্যবাদ দেন প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিয়া।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইউনিসেফের কান্ট্রি প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার বলেন, “শিশু আইন ২০১৩ শিশুদের অধিকার রক্ষায় একটি অন্যতম আইনি দলিল। তবে এই আইনের কার্যকর প্রয়োগের ওপরই মূলত এর সাফল্য নির্ভর করছে, বিশেষ করে শিশুদের জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সুযোগ সম্প্রসারিত হবে।” শিশুদের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ইউনিসেফ ইতোমধ্যে ১৬টি পাইলট প্রজেক্ট পরিচালনা করেছে উল্লেখ করে এডুয়ার্ড ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইউনিসেফের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের শিশু অধিকারবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এবং সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি মো. ইমাম আলী। তিনি বলেন, “ইউনিসেফ আর আমরা খুবই আন্তরিকভাবে কাজ করছি। আগের থেকে পরিস্থিতি এখন আরও উন্নতির দিকে। আশা করি শিশুদের বিষয়ে আইন প্রয়োগের সময় সংশ্লিষ্ট সবাই আরও সচেতন হবে।”

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন এবং ইউনিসেফের পক্ষে এডুয়ার্ড বেগবেদার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠান শেষে দেশের শিশু আদালতের জন্য দুটি কম্পিউটার হস্তান্তর করা হয়।

 

//এসএইচএস//এসএইচ