‘বিনিয়োগে ব্যাংকের বিকল্প পুঁজিবাজার’
প্রকাশিত : ০৭:১৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার
শিল্পখাতে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগে ব্যাংকের বিকল্প হতে পারে পুঁজিবাজার। এতে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে ঝুঁকি কমার পাশাপাশি উপকৃত হবে বিনিয়োগকারী ও শিল্প উদ্যোক্তারা। বুধবার রাজধানীর এক হোটেলে ‘দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই সেমিনারে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন, তালিকাভূক্ত কোম্পানি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজম জে চৌধুরী, ইফাদ অটোসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী, খান ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল কবীর খান বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজারে অধিক হারে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, শিল্পায়ন হয় দেশের মধ্যে থাকা ছড়ানো ছিটানো অর্থেই। তবে বিভিন্ন জনের হাতে সেই টাকা থাকায় তা সচারাচর কাজে আসে না। কিন্তু পুঁজিবাজারের যখন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেই টাকা বিনিয়োগ করে তখনই তা একটি বড় মূলধন হয়ে ওঠে। আর তা শিল্পায়নে ভুমিকা রাখে। তাই দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে ব্যাংকের বিকল্প পুঁজিবাজার এটা বলা যায়।
মন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজার এখন আগের চাইতে অনেক বেশি গতিশীল। সেখানে স্বচ্ছতা আনতে ইতোমধ্যে ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা আলাদা করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে এখন যে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে তা শিল্পায়নের সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এ অবস্থায় পুঁজিবাজারের মাধ্যমে ছড়ানো ছিটানো টাকা একত্রিত হলে দেশের শিল্পায়ন হবে।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থাৎ ২০১০ সালে অস্থিতিশীল পরিস্থতি তৈরি হয়েছিল। সব দেশের পুঁজিবাজারেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তবে এধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা আমাদের জন্য ইতিবাচক শিক্ষা দেয়। আমরা সে অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়েছি। ২০১০ সালের ঘটনার অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক পুঁজিবাজার ব্যবস্থাপনা গঠনে সক্ষম হয়েছি।
এআর