তবলা বাজিয়ে সুদর্শন দাসের বিশ্বরেকর্ড
প্রকাশিত : ০২:৪২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার
টানা ৫৬০ ঘণ্টা তবলা বাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশি তবলা বিশারদ সুদর্শন দাস। তিনি হাতে চালিত বাদ্যযন্ত্র বিভাগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কুজলমান্নাম রামকৃষ্ণানের গড়া ৫০১ ঘণ্টার রেকর্ড ভেঙে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বই-এ নিজের নাম লেখালেন।
সুদর্শন দাস চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার অমূল্য রঞ্জন দাশ ও বুলবুল রাণী দাসের সন্তান। মাত্র ৪ বছর বয়সে চট্টগ্রামের আলাউদ্দিন ললিতকলা একাডেমিতে তবলায় হাতেখড়ি নেন। ১৯৯১ সালে আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জেতেন সুদর্শন। ১৯৯২ সালে ভারতের শান্তিনিকেতনে পণ্ডিত বিজন চ্যাটার্জির কাছে তবলা বিষয়ে তালিম নেন। ১৯৯৮ সালে ভারতের বোলপুরের শান্তি নিকেতন থেকে সুদর্শন দাসকে তবলা বিশারদ উপাধি দেওয়া হয়। ২০০৪ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গিয়ে ‘তবলা ও ঢোল’ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি লন্ডনের নিউহ্যাম কাউন্সিলে আর্ট ও মিউজিক ইন্সট্রাকটর হিসেবে কাজ করছেন সুদর্শন।
তবলা বাজিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো সুদর্শন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সুদর্শন দাসের ধারণা ছিলো, যেহেতু ইতিপূর্বে কেউ তবলা বাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েনি, তাই তিনি ১০১ ঘণ্টা টানা তবলা বাজিয়ে এ রেকর্ড গড়তে পারবেন। কিন্তু গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, তবলা, ঢোল, মৃদঙ্গ সব ধরণের হাতে চালিত বাদ্যযন্ত্রকে তারা অভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করে। তাই বিশ্বরেকর্ড গড়তে হলে টানা ৫০১ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে তবলা বাজাতে হবে। এরপর আরও বেশি প্র্যাকটিস করা শুরু করেন তিনি।
গত বছরের নভেম্বরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পূর্ব লন্ডনের ম্যানরপার্কের স্থানীয় একটি অডিটোরিয়ামে সুদর্শন দাসের তবলা ম্যারাথন শুরু হয়। ২৫ দিন একটানা ৫৬০ ঘণ্টা তবলা বাজিয়ে ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর নতুন এই বিশ্ব রেকর্ড গড়েন সুদর্শন।
উল্লেখ্য, সুদর্শন দাসের আগে বাঙালি সাতারু ব্রজেন দাস ১৯৫৮ সালে সাঁতার কেটে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশি সেলিব্রেটি শেফ টিপু রহমান ২০১২ সালে সর্বোচ্চ পাপাডাম টাওয়ার বানিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন।
/ডিডি/