কে হচ্ছেন চট্টগ্রাম নগর আ. লীগের কান্ডারী?
প্রকাশিত : ০৭:৪৫ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:৪১ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর নগরীর নানা ক্ষেত্রে বিশাল শূন্যতা দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক, স্থানীয় ও জাতীয় নানা বিষয়ে তার অগ্রণী ভূমিকা ছিল। এ রকম দক্ষ নেতৃত্বের অধিকারী মহিউদ্দিন চৌধুরী শুধু চট্টগ্রামের নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও আলোচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। কিন্তু তার অবর্তমানে কে হবেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
বর্ষীয়ান এ নেতার আকস্মিক মৃত্যুতে সবাই শোকে মুহ্যমান। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণ করতে কে এগিয়ে আসবেন—এটাই এখন সবার আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু রাজনৈতিক অঙ্গন নয়, নাগরিক সমস্যা নিয়ে গণমানুষের হয়ে কে কথা বলবেন এবং প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন, সেটাও এখন ভাবছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রায় একযুগ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এর আগে প্রায় ১৫ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭-৬৮ সালে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। এরপর যুবলীগ, শ্রমিক লীগ হয়ে আসেন মূল দলে। ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা প্রায় সবাই মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছে বাবার অবর্তমানে নওফেল কি মহিউদ্দিনের অনুসারীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবেন? না কি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাবেন তারা। যেহেতু নওফেল কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নগরের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে? এ প্রশ্নও উঠছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে সহসভাপতির ৯টি পদ আছে। তারা হলেন মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সুনীল সরকার, বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু। তাদের মধ্যে কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, নাকি সরাসরি সভাপতি পদে কাউকে নিয়োগ দেবে কেন্দ্রীয় কমিটি—তা নিয়ে এখন নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
/ডিডি/