ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শীতের ৫ শাকের নানা স্বাস্থ্যগুণ

প্রকাশিত : ১০:০৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার

আমাদের দেশের ষড়ঋতুর আগমন ও বিদায় অত্যন্ত ‍দৃশ্যমান। ঋতৃ পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতির মধ্যে আসে নানা পরিবর্তন। কোনো ঋতু সাথে নিয়ে আসে হরেক রকম ফল। আবার কোনো ঋতু নিয়ে আসে ফুল। তেমনি শীতকাল আমাদের জন্য নিয়ে আসে হরেক রকমের শাক-সবজি।

আর এ শাক-সবজিতে রয়েছে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য নানা রকম স্বাস্থ্যগুণ। তাই আমাদের এ আয়োজনে থাকছে বেশ কয়েকটি শাকসবজির স্বাস্থ্যগুণ।

) পালং শাক

শীতের শাকের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পালং শাক। এটি যেমন খেতে ভালো, তেমনি কাজেও দারুণ। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন `এ`,‘বি’ `সি`, `ই’। এছাড়াও ফলিক অ্যাসিড, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, প্রেটিন, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পালংশাকে ২৩ ক্যালরি, ৩ গ্রাম আমিষ, ৪ গ্রাম শর্করা ও ২ গ্রাম আঁশ থাকে, তবে কোনো চর্বি নেই। পালংশাকে প্রচুর পানি থাকে। দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনে। রক্তের গুণাগুণ বাড়ায়। পালংশাকের আয়রন লাল রক্ত কণিকা গঠনে সাহায্য করে, যা সারা দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

) পুঁইশাক

কথায় বলে, মাছের রাজা রুই, আর শাকের রাজা পুঁই। কিন্তু পুঁই গুরুপাক খাবার। সবাই খেয়ে হজম করতে পারে না। পুঁই পেট পরিষ্কার করে। পুঁইশাক শুক্রবর্ধক, বাত ও পিত্তনাশক।

এছাড়াও এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন `এ` এবং `সি`, যা ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, বৃদ্ধি ও বর্ধনে সাহায্য করে, চোখের পুষ্টি জোগানো ও চুলকে মজবুত রাখে। আর আঁশ জাতীয় খাবার হওয়ায় পাকস্থলী ও কোলনের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। পুঁইশাকে রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনো ভয় নেই।

) কলমিশাক

 

 

কলমিশাক গ্রামের পুকুর, হাওড়, বাঁওড় ও বিলে সর্বত্র পাওয়া যায়। কেউ কেউ পুকুরের লাগায়। এ ছাড়াও খালবিলে আপনা-আপনি হয়।

এ শাক স্বাস্খ্যের জন্য খুবই উপকারী। কলমিশাক পুরুষের শুক্র ও মেয়েদের বুকের দুগ্ধবর্ধক। কলমি রক্ত পরিষ্কার করে এবং নানা প্রকার যৌনব্যাধিতে উপকারী।

ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য কলমিশাক বেশ উপকারী। হিস্টরিয়া রোগের ওষধ কলমিশাক। পেট ঠান্ডা রাখে । কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

৪) লালশাক

অত্যন্ত সহজলভ্য এই লালশাক। দেখতে লাল এবং রান্নার পর ভাত মাখালে ভাত লাল হয় বলে একে লাল শাক বলা হয় ।

এই লাল শাকে রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুন । অনেকেই খেতে ভালোবাসেন আবার অনেকে লাল শাক পছন্দও করেন না। কিন্তু আমাদের দেহের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য লাল শাকের গুরুত্ব অনেক বেশি। দেহের রক্তশূন্যতা,কিডনি সমস্যা দূর করা সহ দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে এ শাক খুবই উপকারী।

) মূলাশাক

কচি মুলার পাতাকে মুলাশাক বলে। এটা স্বাদে কিছুটা তেতো। তবে সহজে হজম হয়। মুলাশাক বায়ু, পিত্ত ও কফ ত্রিদোষ নাশক। তবে মূলা শাক ভালো করে সেদ্ধ করে খাওয়া উচিত। অন্যথায় কফ ও পিত্ত বাড়তে পারে।

 

এম