রফতানির সম্ভাবনাময় বাজার সুট ব্লেজার
প্রকাশিত : ১১:০৬ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ১২:০১ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার
ইনার্জি প্যাক লিমিটেডের এমডি হুমায়ন রশিদ
বাংলাদেশের রফতানির বড় একটা সম্ভাবনাময় বাজার হচ্ছে সুট-ব্লেজার। এ খাত রফতানি আয়ে অবদান রাখছে। এখাতে আরও গুরুত্ব দিলে উল্লেখযোগ্যভাবে একটা মূল্য সংযোজন যোগ হতে পারে এখাত থেকে। সুট ও ব্লেজারের বড় একটা বাজার রয়েছে শীত প্রধান দেশগুলোতে। তাই খাতকে এখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গুরুত্ব দিচ্ছেন।
সুট-ব্লেজার বিভিন্ন দেশে বর্তমানে রফতানি করা হচ্ছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার। কিন্তু তিন-চার বছর আগেই এ খাতে রফতানি হতো মাত্র ২০ মিলিয়ন। এমন কি মাত্র পাঁচ বছর আগে মাত্র একটি কোম্পানি এই পণ্য রফতানি করতো।
ইনার্জি প্যাক ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ন রশিদ বলেন, সুট-ব্লেজার খাতে রফতানির বড় একটা বাজার রয়েছে। এই খাতে এখন ছয় থেকে সাতটি প্রতিষ্ঠান রফতানি করে থাকে। মূলত এখন আমরা ইউকে এবং কানাডায় রফতানি করি। এর বাইরেও অনেক বড় বাজার রয়েছে। বিশেষ করে শীত প্রধান দেশগুলো এখন আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এখাতে রফতানি করা হচ্ছে প্রায় ৩০ মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ২০০ কোটি টাকা । তবে ২০২১ সালের মধ্যে রফতানির টার্গেট ধরা হয়েছে ১০০ মিলিয়ন। এ খাত বড় একটা মূল্য সংযোজন হতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আগ্রহী বেশ।
ইনার্জি প্যাক লিমিটেডের এমডি হুমায়ন রশিদ বলেন, ২০২১ সালে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আগামী বছরে গাজীপুরের এ কারখানায় আমাদের কর্মী হবে প্রায় চার হাজার।
হুমায়ন রশিদ আরও বলেন, এখাতে ব্যবসা করার জন্য বড় ধরনে বিনিয়োগ করতে হয়। এছাড়াও একটি স্যুইট-ব্লেজার তৈরি করতে খরচ পড়ে ১২ থেকে ১৫ ইউএস ডলার। আর বায়াররা বা ক্রেতারা একটির জন্য দেয় ১৫ থেকে ৩০ ইউ এস ডলার।
তিনি আরও বলেন, উন্নত যেসব দেশে এগুলো তৈরি করা হয় তাদের মান অনুযায়ী আমাদের দেশেও তৈরি করা হয়। অন্য দেশের চেয়ে আমাদের পণ্যের মান অনেক ভালো। তবে এখাতে উন্নয়নের জন্য আমাদের অনেক স্বপ্ন রয়েছে। এজন্য এখাতে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
হুমায়ন রশিদ আরও বলেন, আমাদের ইউকে, ইউএস, জাপান এবং জার্মানির বাজার দখল করাই লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, এখাতের বাজারের সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবলের অভাব, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন জনবলের অভাব। এছাড়াও কারখানা গড়ে তুলতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে হয়।
গার্মেন্ট পণ্য রফতানি করা প্রতিষ্ঠান নিউএজ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম এ ব্যাপারে বলেন, তিন বছর আগে তিনিও ব্লেজার তৈরির একটি কারখানা তৈরি করেছেন। যা হংকংভিত্তিক ব্যবসায়ী পার্টানের সঙ্গে। আশুলিয়ার এ কারখানায় প্রায় এক হাজার ২০০ শ্রমিক কাজ করেন। যা মাসে প্রায় এক লাখ পণ্য উৎপাদন করে।
এসএইচ/