‘চট্টগ্রামের মানুষের দাবিকে অগ্রাহ্য করার সাধ্য আমার নেই’
প্রকাশিত : ১২:১৯ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ১০:৩৫ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার আরও একটি পরিচয় আছে। চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর সভাপতি সদ্যপ্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান তিনি।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুপুস্থিতিতে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের শূণ্যতা তৈরি হয়েছে। প্রিয় নেতার অনুপস্থিতিতে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মহিউদ্দিন অনুসারী এমনকি দলের সাধারণ নেতাকর্মীরাও নেতৃত্বহীনতায় ভুগছেন।
এই অবস্থায় কী ভাবছেন তাঁর সন্তান ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল? বাবার শূন্যস্থান পূরণে চট্টগ্রাম মহানগরের রাজনীতির হাল ধরনের, নাকি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেই মনোযোগ দেবেন? বাবার মৃত্যুর পর এই প্রথম রাজনীতি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইন প্রতিবেদক আলী আদনান।
একুশে টিভি অনলাইন : আপনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অন্যদিকে হাজার হাজার নেতা- কর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী আপনার বাবার অবর্তমানে অনেকটা নেতৃত্বহীন। সব বিবেচনায় আপনি কী কেন্দ্রে নেতৃত্ব দিবেন নাকি চট্টগ্রামে বাবার শুন্যস্থান পূরণে সক্রিয় হবেন?
মহিবুল হাসান চৌধুরী : দেখুন, রাজনীতির জন্য স্থানটা মুখ্য বিষয় নয়। রাজনীতি একটা আদর্শিক দায়িত্ব। আমি যেখানেই থাকি না কেন এই আদর্শিক দায়িত্ব পালনে সব সময় সচেষ্ট থাকব। এই জায়গা থেকে আমরা সবাই জননেত্রী শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ। তিনি যখন যে নির্দেশ দিবেন, আমি তাই করব।
দ্বিতীয়ত, আমি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগেরও সদস্য। এখানকার মানুষের দাবিকে অগ্রাহ্য করার সাধ্য আমার নাই। বাকিটা সময়ই নির্ধারণ করবে। অনেক সময় স্থান কাল পাত্র ভেদে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
একুশে টিভি অনলাইন : বাবার রাজনীতির কোন দিকটাকে আপনি অনুস্মরন করবেন?
মহিবুল হাসান চৌধুরী : আমার বাবা গণমানুষের রাজনীতি করতেন। আমিও গণমানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করব, ইনশাল্লাহ।
একুশে টিভি অনলাইন : রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছোট বেলা থেকেই চট্টগ্রামের রাজনীতি দেখে আসছেন। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে কাকে আপনার বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরীর যোগ্য উত্তরসূরী মনে করেন?
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল : রাজনীতি নিজস্ব গতিতে চলে। একেক সময় একেকজন নেতৃত্ব দেন মাত্র। কে নেতৃত্ব দিবে সেটা সময় নির্ধারণ করে দেয়। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে কে মহিউদ্দিন চৌধুরীর যোগ্য উত্তরসূরী বা কাকে দিয়ে তার বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি হবে সেটা শুধুমাত্র সময়ই বলতে পারবে।
একুশে টিভি অনলাইন : আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যারা আপনার বাবার প্রতিপক্ষ ছিলেন, তাদের কাছে আপনি এখন কী প্রত্যাশা করেন?
মহিবুল হাসান চৌধুরী : আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। কিছু অন্তর্কোন্দল থাকাটাই অস্বাভাবিক নয়। আমার বাবার পক্ষে বা বিপক্ষে কে ছিলেন কারা ছিলেন সেটাও বড় কথা নয়। তারাও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ত্যাগী নেতা। সবচেয়ে বড় কথা তারা সবাই বয়সে আমার বড়, অভিজ্ঞতা আমার চেয়ে অনেক বেশি। তাদের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করব তেমন যোগ্যতা এখনও আমার হয়নি। আমি তাদের কাছে প্রত্যাশা করাটা অশোভনীয়। বরং তারা আমার কাছে কী প্রত্যাশা করেন সেটাই মুখ্য।
একুশে টিভি অনলাইন : মৃত্যুর আগে বাবা কি আপনাকে কোন রাজনৈতিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন?
মহিবুল হাসান চৌধুরী : বাবা আমাকে সব সময় সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর হতে বলতেন। তিনি বলতেন, সাধারণ মানুষের দাবি আদায়ে যেন কখনো আপোষ না করি। শুধু এই নির্দেশনা তিনি সব সময় আমাকে দিতেন।
একুশে টিভি অনলাইন : বাবাকে হারিয়ে জীবনের সবচেয়ে দু;খময় সময়েও আমাদের সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মহিবুল হাসান চৌধুরী : আপনাকেও ধন্যবাদ। একুশে টিভি অনলাইনের প্রতি শুভ কামনা রইল।
/ এআর /