মুক্তিযুদ্ধে নির্মমতার সাক্ষী শেরপুর বিধবা পল্লী
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ১২:৫৪ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার
১৯৭১-এ শেরপুরের সোহাগপুরের বিধবা পল্লীর নৃশংস-নির্মমতা আজো ভুলতে পারেননি শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সেই হত্যাযজ্ঞের হোতা জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি হওয়ায় শহীদ স্বজনেরা সন্তোষ জানালেও, জীবন সায়াহ্নে এসে শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি চান তারা। আর সম্ভ্রম হারানো ৬ বীরাঙ্গনা মা চান মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। আর এলাবাসীর দাবি, নারকীয় হত্যাযজ্ঞের স্থানটির স্মৃতি রক্ষার্থে নেওয়া হোক উদ্যোগ।
১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসর জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী সোহাগপুর গ্রামে চলে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। ৬ ঘন্টা তান্ডব চালিয়ে গুলি করে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নিরহ ১৮৭ জন পুরুষকে হত্যা করা হয়।
স্বামী সন্তান হারিয়ে বিধবা হন ৬২ জন নারী। বর্তমানে তারা দিন পার করছেন নিদারুণ অভাব অনটনে। শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি না মিললেও কামারুজ্জামানের ফাঁসি হওয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা। গণহত্যার সেই স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিও তাদের।
সেদিনের নারকীয় নির্যাতনের শিকার ১৪ জন নারীর মধ্যে বেঁচে আছেন ১১ জন। তাদের ৫ জন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেও বাকিরা রয়েছেন প্রতীক্ষায়।
নরঘাতক কামারুজ্জামানের মতো অন্যান্য রাজাকারদেরও ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম। হত্যাযজ্ঞের স্থানে স্মৃতিস্মম্ভ নির্মাণ ও ৬ বীরাঙ্গনা মায়ের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হোক- এটাই প্রত্যাশা শেরপুরবাসীর।
/ এআর /