ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব চৌধুরী

প্রকাশিত : ০৭:২৯ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ সোমবার

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পেলেন মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। চলতি মাসের ১৫ তারিখ দীর্ঘদিন এ পদের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী ইন্তেকাল করলে শূন্য হয় নগর আওয়ামী লীগ সভাপতির পদ।

মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী হলেন চট্টগ্রামের বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ মরহুম জহুর আহমেদ চৌধুরীর মেজ ছেলে।

মহিউদ্দীন চৌধুরীর মরদেহের দাফন কার্যের পরপরই আলোচনা দানা বাধতে থাকে কে হচ্ছেন নগর কমিটির পরবর্তী সভাপতি। দাফনের দিন সন্ধ্যাই এক সভায় বসেন নগর আওয়ামী লীগের নেতারা। সে বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সূত্রে জানা যায়, সাংগঠিক নিয়ম অনুযায়ী সভাপতির অনুপস্থিতে ১নং সভাপতিই সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে। বৈঠকে ‘মহিউদ্দীন বিরোধী’ পন্থীরা প্রথমে বিরোধিতা করলেও পরবর্তীতে তারা এ নিয়মেই রাজি হয়। সে নিয়মেই নগর সভাপতি হিসেবে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে প্রস্তাব করা হয়।

তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল না। চট্টগ্রাম সফরে থাকা অবস্থায় মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনে সবুজ সংকেত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ইটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, “প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, কে ১নং সহ-সভাপতি? আমি তখন মাহতাব চৌধুরীর কথা বলি। নেত্রী তখন বলেন, তাহলে তাকেই ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাজ শুরু করতে বলেন।”

রোববার নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতাদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্ত সবাইকে জানান। এসময় সেখানে মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরীর তৃতীয় ছেলে হেলাল উদ্দিন চৌধুরী এবং ছোট ছেলে সরফুদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, “চট্টগ্রামের রাজনীতিতে আমাদের যে অবস্থান ছিল তা বিবেচনায় রেখেই নেত্রী মাহতাব ভাইকে এ দায়িত্ব দেন। নগর কমিটি এমনিতে মেয়াদোত্তীর্ণ। নতুন কমিটি না আসা পর্যন্ত মাহতাব ভাইকেই দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”

মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর বাবা মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিপরিষদে  দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহুর্তে চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরীর কাছে স্বাধীনতার বার্তা পাঠান। যা পরবর্তীতে এম এ হান্নানসহ অনেকে প্রচার করেন।

 

//এসএইচএস//এসএইচ