দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যেই সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলো
প্রকাশিত : ০১:১০ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:১০ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ মঙ্গলবার
দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যেই সক্রিয় ধর্মভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলো। তাদের এই রাজনৈতিক লক্ষ্য থেকে প্রশাসন ও জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই, কোনো হামলা পর, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস- এর নামে দায় স্বীকারের কথা প্রচারিত হয়। এমনটাই জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা।
গত বছরের ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ায় দৃর্বত্তদের গুলিতে নিহত হন জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি।
ঘটনার পরপরই এই বিদেশী নাগরিক হত্যাকান্ডে আইএস দায় স্বীকার করে বলে প্রচারিত হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের ওয়েব সাইটে।
এরপর দিনাজপুরে গির্জার ধর্মযাজক ইতালির নাগরিক পিয়েরো পিচম গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা, ইসকন মন্দির ও যাত্রাপালার আসরে হামলা, বগুড়ায় শিয়া মসজিদের মুয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম হোসেন, পঞ্চগড়ে পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায় কুড়িগ্রামে হোসেন আলী নামে এক ধর্মান্তরিত খৃস্টান হত্যার ঘটনায় আইএস- এর দায় স্বীকারের বিষয়টিও সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের ওয়েব সাইটে প্রচারিত হয়।
তবে, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী শুরু থেকেই এসব ঘটনায় আইএস এর জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে। তদন্তে এসব ঘটনার সাথে নিষিদ্ধ জেএমবির জড়িত থাকার তথ্যও মিলেছে বলে জানান তারা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের ধর্মভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে রাখার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই জঙ্গি হামলার সাথে আইএস এর নাম জড়ানো হচ্ছে।
আর ধর্মীয় ব্যক্তিরা বলছেন, ঘটনার গুরুত্ব বাড়াতেই আইএস এর নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
আর জঙ্গিদের এসব কর্মকান্ড প্রচারে, যুক্তরাষ্ট্রের সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্র“পের অবস্থান খতিয়ে দেখা জরুরি বলে মনে করেন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।