‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছে’
প্রকাশিত : ০৯:৫১ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ভাষণে জাতি যেমন আপন সত্ত্বা খুঁজে পেতে উজ্জিবিত হয়েছে। তেমন ধনী-গরিব নির্বিশেষে মুক্তির সাধ নেওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছে। যে অনুপ্রেরণা থেকে আজ আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম জাতির স্বীকৃতি পেয়েছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ ভাষণের স্বীকৃতি পেয়েছি। মঙ্গলবার পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক “মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার” এ অন্তর্ভুক্তির স্বীকৃতি উৎযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সভায় বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ওপর আলোচনা করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির, আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্র’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় সাবেক রাষ্ট্রদূত ও প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণে আমাদের অনুপ্রেরণা আছে। এটা ভাষাগত বা কথামালায় যেমন সবাইকে আকৃষ্ট করেছে। তেমনি দেশপ্রেমে জাগ্রত করেছে। এ ভাষণের দাবি সুদূর প্রসারি। যার স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি এবং পাচ্ছি।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমাজে মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা (পিকেএসএফ) অবহেলিত মানুষের মর্যাদা বাড়ানোরই কাজ করি। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মূলমন্ত্রে উজ্জিবিত হয়ে আমরা আমাদের মানবিক কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাব। আমি যতবারই এ ভাষণ শুনি, ততবারই উপলব্ধি করি মানব মর্যাদা বাড়ানোর অনুপ্রেরণা।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে মানুষের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, অর্থনৈতিক মুক্তি পাচ্ছি। চতুর্দিকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে। আবার বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ “মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার”র স্বীকৃতি পেয়েছে। এতে আমাদের মর্যাদা বেড়েছে। সে জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ।
আরকে//এসএইচ