আলোচনায় বক্তারা
মসলিনের ঐহিত্য উদ্ধারের কাজ চলছে
প্রকাশিত : ১০:০৭ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৫৫ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার
মসলিন শিল্প আমাদের চারশত বছরের পুরনো ঐহিত্য। এই শিল্পের গৌরব ফিরিয়ে আনতে তুলাগাছ চাষ করে পুনরায় সুতা উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। সকলে একত্রে কাজ করলে দুই বছরের মধ্যে এই ঐতিহাসিক পণ্য পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মসলিন পুনরুজ্জীবন : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ সব কথা বলেন।
জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইশতিয়াক। আলোচনায় অংশ নেন লোকশিল্প গবেষক শ্রী চন্দ্র শেখর সাহা, হস্তশিল্প গবেষক রুবী গজনবী, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফরিদউদ্দিন, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সদস্য মো. মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে দৃক পিকচার লাইব্রেরী (বেঙ্গল মসলিন) লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, যদিও আমাদের কিছু অঞ্চলে মসলিন উৎপাদিত হতো, কিন্তু বাংলার এ মসলিনের চাহিদা ছিল বিশ্বব্যাপী। দৃক মসলিনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এই শিল্পের তুলা গাছের চাষ হয় না প্রায় ১৮০ বছর হলো। পুনরায় এই তুলা গাছ চাষের চেষ্টা করা হচ্ছে। যার ফলাফল হলো ৪০০ কাউন্টের শাড়ি উৎপাদন ।
শ্রী চন্দ্র শেখর সাহা বলেন, মসলিন হারিয়ে গিয়েছিল, বর্তমানে সরকারীভাবেইেএটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ শিল্পকে পুনরায় সচল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ড. ফরিদউদ্দিন বলেন, মসলিনের ঐহিত্য বাংলার গর্বের বিষয়। হারিয়ে গেলেও মসলিন উৎপাদন এবং বাজারজাত করতে সরকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পটির কাজ চলছে। তুলা গাছ চাষের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।
মুশতাক হাসান ইফতিখার বলেন, জামদানির মতো মসলিনও এ দেশের পণ্য যথাসম্ভব দ্রুত পুনরুজ্জীবন করতে শিল্প মন্ত্রণালয় সহায়তা করছে। আমাদের তুলা গাছ চাষে নজর দিতে হবে। বাজার দখলের চেষ্টা করতে হবে।
ড. লুৎফর রহমান বলেন, ৪০০ বছরের পুরনো এই শিল্পকে সচল করতে গবেষনা চলছে। এই কাজ দ্রুত শেষ করে আমাদের মসলিনের হারানো গৌরব পুনরুজ্জীবন ঘটাতে হবে।
আর