রিজার্ভের অর্থের মধ্যে আরো প্রায় ৪৪ লাখ ডলার ফেরত দিয়েছেন কিম অং
প্রকাশিত : ০৪:১৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:১৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ মঙ্গলবার
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে আরো প্রায় ৪৪ লাখ ডলার ফেরত দিয়েছেন ফিলিপাইনের ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম অং। সকালে ষষ্ঠ দিনের শুনানিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। এদিকে, প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ পেলেই উদ্ধার হওয়া অর্থ ফেরত দেয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার আর জড়িতদের ধরতে ফিলিপাইনে আবারও শুরু হয়েছে সিনেট কমিটির শুনানি। ষষ্ঠ দিনের এ শুনানিতে চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে আরো প্রায় ৪৪ লাখ ডলার ফেরত দিয়েছেন বলে জানান ক্যাসিনোর জাঙ্কেট অপারেটর কিম অং। সিনেট কমিটির চেয়ারম্যানের প্রশ্নের জবাবে আবারও ৪৫ কোটি পেসো ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সোমবার আইনজীবীর মাধ্যমে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল- এএমএলসির কাছে অর্থ ফেরদ দেন অং। আর এ নিয়ে প্রায় ৯৮ লাখ ডলার ফেরত দিলেন তিনি।
এদিকে, শুনানিতে সিনেট কমিটির প্রশ্নের মুখে পড়েন অর্থ হস্তান্তরে জড়িত রেমিটেন্স কোম্পানি ফিলরেমের কর্মকর্তা মার্ক পালমারেস। তিনি বলেন, ফিলরেমের প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই তিনটি থলেতে করে প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ ডলার দুই ক্যাসিনোতে পৌঁছে দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, এএমএলসি কিছু অর্থ উদ্ধার করতে পারলেও তা বাংলাদেশের হাতে আসতে ‘কিছুটা’ সময় লাগবে বলে ম্যানিলায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ জানিয়েছেন। এছাড়া, ফিলিপাইনের আইন অনুযায়ী অংয়ের লিখিত সম্মতি ছাড়া এই অর্থ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা করতে হবে, যা কিছু দিনের মধ্যে করা হবে বলে এএমএলসির নির্বাহী পরিচালক জানিয়েছেন। আর বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে উদ্ধার হওয়া অর্থ ফেরত দেয়া হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে এএমএলসি।
সিনেটর গুইংগোনা: চুরি যাওয়া অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রমাণিত হলে এর আগে তিনি যে ৪৫ কোটি পেসো ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই ২০ কোটি পেসো তার অংশ কি না?