ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

আলোচিত ৫ সিনেমা, না দেখলে মিস করবেন

প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ১২:০৮ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার

সিনেমা দেখতে ভালো লাগে না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবুও সময়ের অভাবে এবং কোনও না কোনও কারণে হয়তো অনেক সিনেমাই দেখা হয়ে ওঠে না। আর প্রতি সপ্তাহে হলে গিয়ে ভিড় জমানোটাও সম্ভব হয় না অনেকের পক্ষে। তাই সিনেমার ঘরানাটা যদি একটু অফবিট হয়, তা হলে তো কথাই নেই। দেখব, দেখব করে, দেখা আর হয় না। এদের জন্য চিন্তা নেই। ২০১৭-তে মুক্তি পাওয়া বিশেষ কিছু সিনেমার সন্ধান দেওয়া হচ্ছে এই প্রতিবেদনে। যে সিনেমাগুলো মূল স্রোতের সিনেমার থেকে একটু আলাদা। অথচ সিনেমার দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তার বিচারে এগিয়ে।

‘সব ভূতড়ে’

‘আট থেকে আশি’ বাংলার ভূতপ্রেমীদের এই সিনেমা ভালো লাগবেই। কেন না এই সিনেমা টিপিক্যাল বিদেশী হরর সিনেমার অনুপ্রেরণায় তৈরি নয়। বরং একেবারে খাঁটি বাংলার ভূতের গল্প। ভয় থেকে হিউমার, চিত্রনাট্য থেকে অভিনয়, সঙ্গে ক্যামেরার কারিশমা, সবই আছে এই সিনেমাতে। তার সঙ্গে বিরসা দাশগুপ্তের পরিচালনা, আর কল্লোল লাহিড়ীর গল্প ও চিত্রনাট্য সিনেমাটিকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।

ধনঞ্জয়’

ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের গল্প অনেকেরই জানা আছে। ভারতবাসীর কাছে ধনঞ্জয় মানেই একরাশ ঘৃণা। সঙ্গে একরাশ বিতর্ক। ধর্ষণের অভিযোগে দীর্ঘ ১৪ বছর যাবজ্জীবন সাজা কাটানোর পরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই প্রথম ব্যক্তি, যাঁর ফাঁসি হয়েছিল দেশদ্রোহীতার কারণে নয়। তবে তাঁর জীবনকাহিনী যে রূপোলি পর্দায় ঠাঁই পেয়েছে তা হয়তো অনেকেরই অজানা। ‘একই অপরাধে কেন দুই সাজা?’ - এই প্রশ্নটাই সিনেমার মাধ্যমে সমাজের কাছে তুলে ধরেছেন পরিচালক অরিন্দম শীল।

ওয়ান’

দমদার অ্যাকশন, ভরপুর সাসপেন্স, সঙ্গে জমজমাট থ্রিলার - এই তিন নিয়েই তৈরি বাংলা সিনেমা ‘ওয়ান’। এটি তামিল সিনেমা ‘তনি ওরুবন’র রিমেক। যদিও বীরসা দাশগুপ্তের পরিচালনা এবং অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের স্ক্রিপ্ট, এই সিনেমাটিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। এরই সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত এবং নুসরত জাহানের অভিনয়। যা এই ছবিটিকে ২০১৭-তে রিলিজ পাওয়া বাংলা সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

তোমাকে চাই’

স্কুল পেরিয়ে কলেজ জীবন, কাউকে ভালোলাগা, সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক। ঠিক এই বিষয়টিই উঠে এসেছে রাজীব বিশ্বাসের ‘তোমাকে চাই’ সিনেমার মধ্যে। সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ বনি সেনগুপ্ত এবং কৌশানী মুখোপাধ্যায়। অর্থাৎ সিনেমার নায়ক এবং নায়িকা। রাজ চক্রবর্তীর হাত ধরে ব্রেক পাওয়া এই জুটি আবারও মন মাতিয়েছে দর্শকদের। বিশেষত কলেজ পড়ুয়া, কিংবা সদ্য প্রেমে পড়া টিন এজারদের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে এই সিনেমাটি।

আমি যে কে তোমার’

বন্ধুত্ব কী? সারাটা জীবন, যে কোনও পরিস্থিতিতে বন্ধুর পাশে থাকা না কি বন্ধুর সমস্ত দাবি মেনে নিয়ে তার সঙ্গে হাতে হাত রেখে বাকি পথটা এগিয়ে চলা। রবি কিনাগি পরিচালিত ‘আমি যে কে তোমার’ সিনেমার মুল বিষয়বস্তু এই বন্ধুত্বই। বন্ধুর প্রতি বন্ধুর ভালোবাসা, দায়বদ্ধতা, আর প্রেমের মধ্যে যখন বিরোধ জন্ম নেয়, তখন একজন প্রকৃত বন্ধু কোন পথ বেছে নেয়, সেই উত্তরই পাওয়া যাবে এই সিনেমাতে।

সূত্র : আনন্দবাজার

এসএ/