৫ বছর সংসারের পর স্বামী উধাও!
প্রকাশিত : ০৭:২৭ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার
একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা দুজনের। পরিচয় থেকেই প্রেম। আর ভালোবাসা থেকেই বিয়ে। দীর্ঘ পাঁচ বছর সংসার করার পর স্বামী উধাও। এমনটি ঘটেছে, প্রিয়াংকা নামের এক তরুণীর জীবনে। দক্ষিণডিহি ফুলতলা খুলনায় বসবাসরত কাজী মনিরুল ইসলামের ছোট ছেলে কাজী আবু বকর সিদ্দীক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা অবস্থায় প্রেম হয় কক্সবাজারের ঘোনাপাড়া গ্রামের মেয়ে পিয়াংকার সঙ্গে। পিয়াংকা একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। প্রথমে পরিচয় এরপর প্রেম, নিজেদের সম্মতিক্রমে বিয়ে হয় ২০১২ সালে। স্বাভাবিকভাবে চলছিল তাদের সংসার জীবন। ২০১৭ সালে তাদের সংসার জীবনের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়।
গত মে মাসে হঠাৎ করে অফিসে যাওয়ার নাম করে বাসা থেকে বের হয় আবু বকর। এর পর তার সন্ধান মিলছে না তার। পিয়াংকার অভিযোগ তাকে রেখে পালিয়েছি আবু বকর। অনেক সন্ধান করে না পেয়ে তার বাড়িতে যোগাযোগ করলেও পিয়াংকাকে মেনে নিচ্ছে না আবু বকরের আত্মীয়-স্বজনরা। বাধ্য হয়ে তিনি রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪০৩।
পিয়াংকা অভিযোগ করেন, আবু বকর বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বিয়ের কাবিননাম নিয়ে চলে যায়। পিয়াংকা জানান, আবু বকর ও পিয়াংকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করতেন। একই সঙ্গে পড়াশোনা করায় দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২০১২ সালে নিজেদের সম্মতিক্রমে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। দুইজনের বিয়ে করলেও পড়াশোনা শেষ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেওয়ার কথা দেন আবু বকরের পিতা।
পিয়াংকা ভাষ্য, গত ৭ মে বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি আর ফিরে আসেনি। পরে আবু বকরের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি জানতে পিয়াংকার শ্বশুরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পিয়াংকা আরও বলেন, আবু বকর পড়াশোনা শেষে খুলনার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া আশ্বাস দিয়েছিলেন। গত পাঁচ বছর সংসার করেছেন। কাউকে না জানিয়ে আবু বকরকে বিয়ে করার কারণে পিয়াংকার মা তাকে তিরস্কার করছে। স্বামীর বাড়ির লোকজন নিচ্ছেন না। পিয়াংকা বলেন, সংসার ফিরে না পেলে তার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না।
তার স্বামীকে না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। এখন তিনি রাজধানীর ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার বিয়ের প্রতারেণা নিয়ে শনিবার প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করেছেন পিয়াংকার স্বজনরা।
টিআর/এসএইচ