আব্দুল আলীম ছিলেন লোক সঙ্গীতের অবিসংবাদিত পুরুষ
প্রকাশিত : ০৭:৩৩ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার
বাংলার কিংবদন্তী গায়ক আব্দুল আলীমের স্মরণ সভা শনিবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি ও গীতিকার মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান।
এতে আলোচক ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, শিল্পীপুত্র আজগর আলীম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট লেখক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
তাসমিমা হোসেন বলেন, আব্দুল আলীম বাংলার লোকসংগীতের এক অমর নাম। তাঁর প্রতিভা খুব অল্প বয়সে তার গান রেকর্ড হওয়া সত্যি বিস্ময়কর। তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলার লোক সংগীতের এক অবিসংবাদিত পুরুষ।
আজগর আলীম বলেন, দেশভাগের পরে বাবা ঢাকা এসে বেতার শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। লোকগান,মারফতি- মুর্শিদি গানে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। তাঁর দরদভরা কন্ঠ এ জাতীর প্রাণে প্রশান্তি দিয়েছিলেন। অথচ তার গানের রেকর্ড এখন বিটিভিতে রাখা হয়নি।
গীতিকার মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান বলেন, লোকগানের অমর স্রষ্টা আব্দুল আলীম বাংলার সংগীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন,যেখানে জীবন জগৎ এবং ভাববাদী চিন্তা একাকার হয়ে গিয়েছিল।
তিনি অন্যের গান শুনে শুনে শিল্পী হয়ে উঠেছেন। তাঁর মত মরমী শিল্পী হাজার বছরে আসবে কি না সন্দেহ আছে। তাঁর গান মানেই তো বাংলাদেশের কন্ঠ। এই মহান শিল্পীর গানের রেকর্ড টেলিভিশনে না রাখা সত্যি দুঃখজনক।
বক্তারা বলেন- আব্দুল আলীমের গানে জীবনের সুখ দুঃখ, বিরহ বেদনা, বিচ্ছেদ ফিরে ফিরে এসেছে।প্রেমে প্রকৃতিতে, ভক্তিতে সংগীতের মাধ্যমে এক অনির্বচনীয় লোকের সন্ধান দিয়েছিলেন তিনি।তাঁর নিজস্ব গায়কী,সুর মাধুর্যের গুণে আব্দুল আলীম হয়ে উঠেছিলেন একজন অনন্য সাধারণ শিল্পী।
উল্লেখ্য,তাঁর গানের সংখ্যা ৫০০ বেশি।তিনি অসংখ্য সিনেমার গানে কন্ঠ দিয়েছিলেন।সংগীতে অবদান রাখায় তাঁকে ১৯৭৭ সালে একুশে পদক( মরণোত্তর) দেয়া হয়।
/ এআর /