ইরানে বিক্ষোভে বিদেশি এজেন্টদের অনুপ্রবেশের অভিযোগ
প্রকাশিত : ০৭:২৩ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার
ইরানে বিক্ষোভকালে আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমণের ঘটনায় বিদেশি এজেন্টদের দুষছেন ইরানের ক্ষমতাসীনরা। তৃতীয় দিনের মতো দেশটিতে সরকার বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। এতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আর এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিদেশি এজেন্টরা জড়িত বলে অভিযোগ করছে ইরান।
কাতার ভিত্তিক টেলিভিশ চ্যানেল ‘আল জাজিরা’র অনলাইন সংস্করের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর দোরুদে আন্দোলনে অংশ নেওয়া দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লোরেস্তান প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর দাবি করেছেন, ওই বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গুলিতে নয়, বরং বিদেশি এজেন্টদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে প্রদেশটির দোরুদ শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে গুলিতে ওই দুই বিক্ষোভকারী নিহত হন।
কিন্তু সাক্ষাৎকারে দেশটির ডেপুটি গভর্নর হাবিবুল্লাহ খোজাস্তেহপুর বলেছেন, “শনিবার দোরুদে অবৈধ বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতা শুরু হয় এবং দুর্ভাগ্যবশত দুই ব্যক্তি নিহত হয়। তবে ওই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী বা পুলিশ কোনো গুলি চালায়নি। তাই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের দেশের কোন বাহিনী জড়িত নয়। আমরা প্রমাণ পেয়েছি, ইসলামি বিপ্লবের শত্রু তাকফিরি গোষ্ঠীগুলো ও বিদেশি চররা ওই সহিংসতায় জড়িত ছিল।”
এর আগে বিক্ষোভকারীরা দেশটির ইফশান, কারমানশাহ, কোম, হামাদান, তেহরান, রাসাদ ও মাশাদ শহরে জড়ো হয়ে হাসান রুহানি ও দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয়নেতা আয়তুল্লাহ আল খোমেনির বিরুদ্ধেও স্লোগান দিয়েছে। তাঁদের দাবি দেশটির অর্থ কেবল বিদেশের জন্য অস্ত্র কেনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, এই অর্থ বিশ্বজুড়ে শিয়া ধর্ম প্রচারের জন্যও ব্যয় করছেন খোমেনি।
গত শুক্রবার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তবে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটি হয় কারমানশাহ শহরে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে অন্য শহরগুলোতেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমজে/টিকে