শিশুকে কৌশলে নিজে খেতে শেখান
প্রকাশিত : ০৬:৫২ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৪:০৭ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার
একটি শিশু জন্মের পর থেকে এক বছর চার মাস বা দুই বছর পর্যন্ত অন্যের হাতে খাবার খায়। এ সময় শিশুর সব খাবারের প্রতি আগ্রহ থাকে এবং সুন্দরভাবে খেয়েও থাকে। কিন্তু দুই বছর পর সে এটা-সেটা খেতে চায় না, তখন বাবা-মা জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে খাবার নিয়ে শিশুদের মধ্যে ভীতি কাজ করে, যা খুব ক্ষতিকর। এ সময় শিশুরা অন্যের হাতে খেতেও বিরক্তবোধ করে। তখন খাবার শিশুদের হাতেই ছেড়ে দিতে হয়।
তাই শিশুরা যাতে নিজের হাতেই খাবার খেতে আগ্রহী হয়, সেই পদ্ধতির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া শিশুকে স্বাবলম্বী করার জন্য চেষ্টা করতে হবে নিজের হাতে খাওয়া শিখানোর মাধ্যমে। এজন্য কিছু পদ্ধতিকে অবলম্বন করার কৌশল একুশে টেলিভিশন অনলাইনের পাঠকের জন্য উপস্থাপন করা হলো-
১) শিশুর হাতে কৌশলে চামচ ধরিয়ে দিতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে চামচ ডুবিয়ে খেতে হবে সেটি সুন্দরভাবে শিখিয়ে দিতে হবে।
২) এ সময় শিশুদের না বলার প্রবণতা দেখা যায়। তাই যে খাবার খেতে চায় না, সেই খাবার জোর করে দেওয়া যাবে না। জোর করে দিলে সে জেদি হয়ে উঠবে। সুতরাং সে যেই খাবার পছন্দ করে সেই খাবরই দিতে হবে।
৩) শিশুকে যে খাবার দেওয়া হচ্ছে সেই খাবার যেন শিশু মনে করে সেটি তার নিজের ইচ্ছায় খাচ্ছে। কেননা সে যদি মনে করে অন্যের ইচ্ছায় সে খাচ্ছে তাহলে সেটি আর খেতে চাইবে না।
৪) শিশুকে যখন খেতে দেওয়া হবে তখন তার সামনে অন্যরা যদি শিশুকে দেখিয়ে খাবার খায় তাহলে খাবার খাওয়ার আগ্রহ বেড়ে যাবে।
৫) অনেক সময় শিশুরা শক্ত খাবার খেতে চায় না তখন আলু সিদ্ধ, পেঁপে সিদ্ধ, কলা, টমেটো ব্লেন্ডারে জুস করে কিংবা পায়েস জাতীয় নরম খাবার দিতে হবে।
৬) ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. রফিক আহম্মেদ বলেছেন, শিশুর জন্য পুষ্টিকর খাবার হিসেবে খিঁচুড়ি ছাড়া অন্য কোন দ্বিতীয় খাবার হয় না। এছাড়া শিশুদের খিঁচুড়ি খুব পছন্দের খাবার। তাই পছন্দের খাবার তাদের সামনে দিলে তারা নিজের হাতে উৎসাহ নিয়ে খাবে।
৭) শিশুদেরকে নিজের হাতে খেতে দিলে তারা খুব ধীর গতিতে খেতে থাকে, এতে বাবা-মায়ের ধৈর্য ধরে খাওয়ানো শিখাতে হবে।
আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। আর এ আগামী দিনের ভবিষ্যৎ যেন সুস্থ, সুন্দরভাবে বেড়ে উঠে এবং সুচারু সম্পন্ন কাজ যেন করতে পারে সেটি আন্তরিকতা দিয়ে শিখাতে হবে।
লেখাটি ডা. রফিক আহম্মেদের হেলথ ম্যাগাজিন থেকে নেওয়া হয়েছে।
/কেএনইউ/এসএইচ