ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ফরমালিন এড়াতে জীবিত মাছ কেনার ব্যাপারেই ক্রেতারা বেশি আগ্রহী

প্রকাশিত : ০৯:১৭ এএম, ২১ এপ্রিল ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:১৭ এএম, ২১ এপ্রিল ২০১৬ বৃহস্পতিবার

ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে সচেতন ক্রেতারা এখন জীবিত মাছ কেনার ব্যাপারেই বেশি আগ্রহী। কিন্তু জীবিত মাছেও ব্যবহৃত হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান। চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব মাছ খাওয়ায় মানুষের শরীরে লিভার ক্যান্সার, কিডনির রোগসহ  বিভিন্ন মরণঘাতী রোগ বাসা বাঁধছে। বাঙালির খাদ্য তালিকায় মাছের কোনো জুড়ি নেই, প্রবাদেও আছে মাছেÑভাতে বাঙালি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে মানবদেহের প্রয়োজনীয় আমিষের ৬০ শতাংশই পূরণ হয় মাছ থেকে। মাছের এ বিপুল চাহিদার কারণে চাষও বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মাছের উৎপাদন বাড়াতে খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে হাঁস, মুরগি, মাছের নাড়ি ভূড়িসহ বিভিন্ন রকম বর্জ্য। অন্যদিকে ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে সচেতন ক্রেতারা যখন জীবিত মাছ কেনার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন, তখন এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। কৌশলে মাছ বাঁচিয়ে রাখতে ব্যবহার করছেন মাত্রাতিরিক্ত অক্সিজেনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছে এসব ব্যবহার মানবদেহের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণে ব্যবহারের জন্য জেলে ও মাছ বিক্রেতাদের প্রশিক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, যেসব মাছ উচ্ছিষ্ট বর্জ্য খাচ্ছে, মানুষ সেসব মাছ খাওয়ার পর শরীরে প্রবেশ করে বিষক্রিয়া তৈরি করে। এতে মানুষ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী ও মরণঘাতী বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধছে বলেও মত দিয়েছেন তারা। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নজরদারী বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।