মায়ের দুধই শিশুর শ্রেষ্ঠ খাবার
প্রকাশিত : ০৬:৪০ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:০৬ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার
একটি শিশুর জন্মের কিছুক্ষণ পরই তার আদর্শ ও শ্রেষ্ঠ খাবার হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ। পৃথিবী সৃষ্টির সেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে এ নিয়ম। মায়ের কোলজুড়ে যে ফুটফুটে ছোট শিশুটির জন্ম হয় মূলত তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই প্রথম পুষ্টিকর খাবার হিসেবে মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়।
গবেষকদের মতে, নবজাতক শিশুর জন্মের পর খাবার হিসেবে মায়ের দুধ ছাড়া বিকল্প নেই। মায়ের বুকের দুধে নবজাতকের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান থাকে। যা ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন ও রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন করে থাকে শিশুর।
এদিকে, আধুনিক যুগে এসে অনেকেই মায়ের বুকের দুধের পরিবর্তে নবজাতকের মুখে তুলে দিচ্ছে বাজারজাতকরণ কৃত্রিম দুধ। কিন্তু এটি নবজাতকের জন্য ক্ষতিকর। নানা রকম মিথ্যা প্রচারণা ও প্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে নবজাতকের এ প্রধান অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব দান। এ দান থেকে কোনভাবেই একটি নবজাতককে বঞ্চিত করা ঠিক হবে না।
আমরা বিশ্বাস করি মায়ের বুকের দুধের অনেক গুণাবলি রয়েছে। কিছু গুণাবলি নিম্নে একুশে টেলিভিশনের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
১) মায়ের বুকের দুধের অন্যতম গুণাবলি হচ্ছে নিরাপদ, পরিষ্কার, সহজলভ্য ও সঠিক তাপমাত্রা পাওয়া যায়।
২) নবজাতকের জন্মের পরেই যে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হয় সেটাকে শাল দুধ বলা হয়। এই শাল দুধ নবজাতকের প্রথম টিকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শাল দুধ শিশুর জন্য খুবই উপকারী।
৩) মায়ের দুধ পানে শিশুর অ্যালার্জি ও হাঁপানি রোগের আশঙ্কা তুলনামূলক খুবই কম হয়।
৪) মায়ের দুধ পান করলে রোগ প্রতিষেধক টিকা যথাযথ কার্যকরী হয়।
৫) নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের স্তন ক্যান্সার ও জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বহুলাংশ কমে যায়।
৬) জন্মের পরেই নবজাতককে দুধ পান করালে মা ও শিশুর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
৭) মায়ের বুকের দুধ নবজাতক খুব সহজে হজম করতে পারে।
৮) মায়ের দুধে রোগ প্রতিষেধক রয়েছে যেগুলো শিশুর রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে, যা বাজারের কোনো দুধে পাওয়া যায় না।
৯) একটি নবজাতকের স্বাভাবিক সুস্থ জীবনযাপনে ও শারীরিক গঠনে যা যা প্রয়োজন তার সবটুকুই মায়ের দুধে পর্যাপ্ত পরিমানে রয়েছে।
এইসব সুফল পাওয়ার জন্যই নবজাতককে ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
অধ্যাপক এম এ কে আজাদ চৌধুরীর লেখাটি হেলথ ম্যাগাজিন থেকে নেওয়া হয়েছে।
/কেএনইউ/এসএইচ