সরকারি নির্দেশের পরও তামাকজাত পণ্যের মোড়কে ছাপানো হয়নি সচিত্র সতর্কবার্তা
প্রকাশিত : ০৯:৩৭ এএম, ২১ এপ্রিল ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৩৭ এএম, ২১ এপ্রিল ২০১৬ বৃহস্পতিবার
সরকারি নির্দেশের পরও ১৯ মার্চের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তামাকজাত পণ্যের মোড়কে ছাপানো হয়নি সচিত্র সতর্কবার্তা। সতর্কবাণী বাস্তবায়ন বিষয়ক সার্ভের ফলাফলে উঠে এসেছে এই তথ্য। নির্দেশ অমান্যকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তামাকজাত পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনকারীরা।
তামাকজাত পণ্য ও ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্বে প্রতিবছর অন্তত ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কারণে। এ’সব বিবেচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ফ্রেম ওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকোর সিদ্ধান্তে সকল রাষ্ট্র তামাক নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়।
বিভিন্ন সতর্কবার্তার পর সম্প্রতি সরকার নির্দেশ দেয় তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র সতর্কবাণী প্রচারের। তবে, ১৯ মার্চ সেই মেয়াদ শেষ হলেও, নির্দেশ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে জরিপের তথ্য বলছে,
৭৫ শতাংশ তামাকপণ্যে স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নেই
৩৫টি ব্র্যান্ডের সিগারেটের ৫৪ শতাংশ প্যাকেটে সতর্কবাণী নেই
১৪টি ব্র্যান্ডের বিড়ির প্যাকেটে সতর্কবাণী পাওয়া যায়নি
২০৮টি জর্দ্দার কৌটার মধ্যে ৯২ শতাংশে সতর্কচিত্র নেই
১৬টি ব্র্যান্ডের ৮৮ শতাংশ গুলের কৌটায় কোন সতর্কবাণী দেখা যায়নি
এছাড়া, নিম্নমানের সিগারেট, বিড়ি, জর্দ্দা ও গুলের ক্ষেত্রে নির্দেশনা মানার চিত্র বেশি হতাশাজনক।
চিকিৎসকরা বলছেন, ধূমপানে যেমন শারীরিক ক্ষতি হয়, তেমনি অপচয় হয় অর্থের।
তথ্যমতে, দেশে প্রতিবছর তামাক সেবনে অসুস্থতাজনিত কারণে সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।